বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশিরা ভারতে বৈধ কাগজ নিয়ে চিকিৎসার জন্য যায়, ঘুরতে যায়। অথচ বিএমডিসির অনুমতি ছাড়াই ভারতীয় চিকিৎসকরা বাংলাদেশে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ডাক্তারি করে যাচ্ছেন। অথচ জনগণের আন্দোলনের ফসল যে সরকার সেই অন্তর্বর্তী সরকার কোনো নজর দিচ্ছে না। বিএমডিসির অনুমতি ছাড়া ভারতীয় চিকিৎসকরা কীভাবে (বাংলাদেশে) চিকিৎসা দিচ্ছেন?
গতকাল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানে নির্দেশে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে বগুড়া শহরে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকায় সাবেক পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্রদল সদস্য মুশফিক রহমান সোহাগের চিকিৎসার খোঁজখবর শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ডা. রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশে তাদের পোষ্য সরকারের পতনের পর থেকে আমাদের জন্য চিকিৎসাসহ সব ভিসা স্থগিত রেখেছে। ভারত বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্ব চায় না, বন্ধুত্ব চায় একটি বিশেষ গোষ্ঠীর সঙ্গে। তিনি বলেন, বিদেশি প্রভুদের উসকানিতে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাও দিল্লিতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছেন। এ ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সদা সতর্ক থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই।
এ সময় বগুড়া জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলম, ডা. ইউনুস আলী, ডা. নবিদ আলম, ডা. নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়ার পর থেকেই তারেক রহমানের আর্থিক সহযোগিতায় তার চিকিৎসা চলছে।