উন্নয়নশীল দেশসমূহে বিজ্ঞান অগ্রগতির জন্য প্রতিষ্ঠিত ‘বিশ্ব বিজ্ঞান একাডেমি’-এর ফেলো হলেন বাংলাদেশি-কানাডিয়ান ড. মুহাম্মদ গোলাম মোর্শেদ। ২০২৩ সালের নভেম্বরে ড. মোর্শেদকে ফেলো হিসেবে নির্বাচিত করেছিল তারা। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি তাঁর ফেলোশিপ আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এযাবৎ মোট ১ হাজার ৪৬৩ জন ফেলোকে ১১২ দেশ থেকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৯২ জন পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের। ২০২৩ সালে এ অঞ্চল থেকে ৪৭ জন ফেলো নির্বাচিত হন। ড. মুহাম্মদ মোর্শেদ হলেন বাংলাদেশি বংশো™ূ¢ত ১৭তম বিজ্ঞানী যিনি এ সম্মাননা লাভ করেছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে অধ্যাপক মোহাম্মদ শমশের আলী প্রথম বাংলাদেশি ফেলো নির্বাচিত হন।
মাইক্রোবায়োলজি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গবেষণা, শিক্ষা ও ক্লিনিক্যাল সেবায় নেতৃত্ব প্রদানের জন্য ড. মোর্শেদকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশে বিজ্ঞান যোগাযোগে অবদানের জন্য তাঁকে বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয়েছে, যা তিনি রেডিও, টেলিভিশন, সংবাদপত্র এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বক্তৃতা ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে ড. মোর্শেদ একমাত্র প্রবাসী বাংলাদেশি বিজ্ঞানী যিনি এ সম্মাননা লাভ করেছেন।