এবারও রংপুর বিভাগে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। চালে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলেও ধানে অর্জন মাত্র ১২ শতাংশ। বিভাগের ৮ জেলায় চাল সরবরাহ করতে চুক্তি না করায় ৭৮৭ মিলারের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৭ নভেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমন ধান ও চাল সংগ্রহের অভিযান চলে। রংপুর বিভাগে ধানের সংগ্রহ সন্তোষজনক হয়নি। আমন মৌসুমে রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় আমন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৫ হাজার ৯৪০ মেট্রিক টন। সেখানে অর্জন হয়েছে মাত্র ১২ শতাংশ। অপরদিকে আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ১৬৪ মেট্রিক টন। এ ছাড়া সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৭৫৪ মেট্রিক টন। সেখানে সংগ্রহ প্রায় শতভাগ। এ চাল ৩ হাজার ২৩৬ জন মিলারের দেওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে ৭৮৭ জন মিলার চাল সরবরাহে খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তি করেনি। ফলে ওইসব মিলারের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
খাদ্য বিভাগের তথ্যমতে, রংপুর জেলায় সিদ্ধচাল সরবরাহের চুক্তি করেনি ১০৪ জন মিলার। এর মধ্যে একটি অটো এবং ১০৩টি হাস্কিং মিল, লালমনিরহাটে ২৬টি, নীলফামারীতে ২৪টি, কুড়িগ্রামে ৩৪টি, দিনাজপুরে ২৯৬টি, ঠাকুরগাঁওয়ে ১৩৯টি, এবং পঞ্চগড়ে ৩৩টি আটো এবং হাস্কিং মিল খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তি করেনি। ফলে ওইসব মিলারদের লাইসেন্স বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জহিরুল ইসলাম বলেন, রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় ৭৮৭ মিলার চাল সরবরাহ করার সামর্থ্য থাকার পরেও চুক্তি করেনি। এর মধ্যে ৩৫৯ মিলারের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। বাকিদের লাইসেন্স বাতিলের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ধান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাজারের দামের সঙ্গে পার্থক্য থাকায় ধানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।