নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. অহিদুজ্জামানসহ দুই শিক্ষককে তলব ও নিয়োগপ্রাপ্ত ১৩ শিক্ষকের কাগজপত্রের তথ্য চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সন্ধ্যায় দুদকের সমন্বিত নোয়াখালী জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ফারুক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে দুটি চিঠির মাধ্যমে দুই শিক্ষককে তলব ও সেই সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত ১৩ শিক্ষকের তথ্য প্রদানের জন্য বলা হয়েছে। ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়া ১৩ জন শিক্ষক হলেন- ‘অধ্যাপক ড. দিব্যদৃতি সরকার (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), সহকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আবদুল মমিন সিদ্দিকী (সমুদ্রবিজ্ঞান), সহকারী অধ্যাপক ড. মো. রোকনুজ্জামান সিদ্দিকী (সমাজবিজ্ঞান), অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন (বাংলা), প্রভাষক সোহানুজ্জামান (বাংলা), সহকারী অধ্যাপক ড. আ শ ম শরিফুর রহমান (প্রাণিবিদ্যা), ড. মো. আতিকুর রহমান ভূঁইয়া (কৃষি), অধ্যাপক ড. গাজী মো. মহসিন (কৃষি), সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুজ্জামান ভূঁঁইয়া (আইআইটি), সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ মো. সিয়াম (শিক্ষা), অধ্যাপক ড. এমডি মাসুদ রহমান (বাংলা), সহযোগী অধ্যাপক ড. সুবোধ কুমার সরকার (বিএমবি) ও সহকারী অধ্যাপক ইমরুল কায়েস (ইএসডিএম)। নোবিপ্রবির রেজিস্ট্রারের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এটি মূলত সাবেক ভিসির সময়ের দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। দুই শিক্ষককে তলব ও ১৩ শিক্ষকের তথ্য সরবরাহের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ড. এম অহিদুজ্জামান ২০১৫ সালের ২ জুন থেকে ২০১৯ সালের ১ জুন পর্যন্ত চার বছর নোবিপ্রবির ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ১১টি বিভাগ ও দুটি ইনস্টিটিউটে ২৯৮ জন শিক্ষক, ২৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নতুনভাবে নিয়োগ এবং দেড় শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদোন্নতি দেন।