জুলাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সহযোগী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষকের বিচারের দাবি জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী শিক্ষকদের সংগঠন ‘সাদা দল’। এ সময় ‘হত্যার নির্দেশদাতা শেখ হাসিনা ও তার মদতপুষ্ট শিক্ষকদের বিচারের মাধ্যমেই প্রকৃত পরিবর্তন আসবে’ বলে মন্তব্য করেছেন সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান। গতকাল সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এক মানববন্ধনে এমন দাবি জানান সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। এ সময় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে শেখ হাসিনা সরাসরি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে গুলি চালানোর নির্দেশ দেন, যা একটি ফাঁস হওয়া অডিও কল ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসির সত্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই প্রমাণিত। শুধু তাই নয়, সেই দমন-পীড়নের সময় কিছু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক গণভবনে গিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিলেন। আজ তারা আবার অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিচ্ছেন। তখন কোথায় ছিল তাদের বিবেক? মানববন্ধনে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, খুনি হাসিনার নির্দেশেই নির্বিচারে গুলি চালানো হয়েছে। জাতিসংঘের তদন্ত রিপোর্টেও এ তথ্য উঠে এসেছে। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে অডিও-ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে এ স্বৈরাচার দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছেন।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন, সাবেক মার্কেটিং বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ বি এম শহীদুল ইসলাম, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেখ আজহারুল ইসলাম, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এনামূল হক, প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন, অধ্যাপক এম এ কাওসার, অধ্যাপক আসাদ চৌধুরী, অধ্যাপক শাহ শামিমসহ শতাধিক শিক্ষক।