অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ সম্প্রতি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তহবিল থেকে পতিতাদের ‘মর্যাদা ও স্বীকৃতিস্বরূপ’ ২ কোটি ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন। যৌনকর্মী ও সমকামী ট্রান্সজেন্ডারদের পক্ষে কাজ করা ‘নারীপক্ষ’ নামে এক এনজিও সংস্থার হাতে এ আর্থিক প্রণোদনা তুলে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে গতকাল ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও সাজিদুর রহমান বলেছেন, পতিতাদের উপযুক্ত পুনর্বাসনের পরিবর্তে তাদের নিছক খুশি করতে রাষ্ট্রীয় প্রণোদনা প্রদান বাংলাদেশের আবহমানকালের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের বিরুদ্ধে পশ্চিমা ষড়যন্ত্রের অংশ। তা ছাড়া পতিতাবৃত্তির নেপথ্যে অবাধ নারী-শিশু পাচার, কর্মসংস্থানের অভাব, নৈতিক অবক্ষয় ও আর্থসামাজিক সংকটগুলো মূল কারণ। ফলে তাদের পুনর্বাসন ছাড়া এ ধরনের প্রণোদনা বিদ্যমান সংকটগুলোকে আরও ঘনীভূত করবে।
আর পতিতাবৃত্তিকে স্বীকৃতি দেওয়ার মানে নারীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘যৌনপণ্য’ বা ‘যৌনদাস’-এ পরিণত করার শামিল। পতিতাবৃত্তি কোনো নারীর জন্য সম্মানজনক ও মানবিক ঘটনা নয়। এটি রাষ্ট্রের ব্যর্থতার ফসল হিসেবে তাদের আর্থসামাজিক দুর্ভাগ্য মাত্র।
বিবৃতিতে হেফাজত নেতারা আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি এ দেশের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের বিরুদ্ধে গিয়ে সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা ও এনজিওকর্মী শারমীন মুরশিদ পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়নে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করছেন। হাজার হাজার মাদরাসার বিরুদ্ধে ঢালাও অপপ্রচার চালিয়েছেন। তাঁকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। পশ্চিমা এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য জুলাই গণ অভ্যুত্থান হয়নি। দেড় সহস্রাধিক শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি এ দেশের আলেমসমাজ ও ধর্মপ্রাণ জনগণ মেনে নেবে না।’