আটজন উপদেষ্টার দুর্নীতি সম্পর্কিত বক্তব্য কোনোভাবেই সমর্থন করে না বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি স্পষ্ট করেছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বাসা)। বাসার সভাপতি এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সচিব মো. নজরুল ইসলাম এবং বাসার মহাসচিব ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি স্পষ্টীকরণ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ৮ আগস্ট শুক্রবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে আয়োজিত ‘জুলাই গণ অভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও আগামী দিনের জনপ্রশাসন’ শীর্ষক সেমিনারে অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার তার বক্তব্যের একপর্যায়ে আটজন উপদেষ্টাকে নিয়ে যে মতামত দিয়েছেন তা একান্তই তার নিজস্ব বক্তব্য। বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টারা সততা, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা পূর্ণ আস্থার সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের সব কার্যক্রম বাস্তবায়নে দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ।
এর আগের দিন অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করে বিবৃতি পাঠান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আবদুর রশীদ।
গত শুক্রবার বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সেমিনারে বিসিএস ৮২ ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সাবেক সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার দাবি করেন অন্তর্বর্তী সরকারের আটজন উপদেষ্টার সীমাহীন দুর্নীতির প্রমাণ নিজের কাছে রয়েছে। তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনের রক্তের ওপর দিয়ে চেয়ারে বসা অন্তত আটজন উপদেষ্টার সীমাহীন দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ দিতে পারব। গোয়েন্দা সংস্থার কাছে আট উপদেষ্টার দুর্নীতির প্রমাণ রয়েছে। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
ওই আট উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ ও বদলি হয় না বলে সাত্তার দাবি করলেও ওই উপদেষ্টাদের নাম বলেননি তিনি।