মুসলিম উম্মাহর বিভাজন দূর করতে পারলেই বিশ্বে তাদের প্রকৃত ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত হবে। ঐক্যবদ্ধ মুসলিম উম্মাহ গঠনের জন্য ইতিহাস গবেষণা ও সাংস্কৃতিক বিপ্লব প্রয়োজন। গতকাল রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার চার নম্বর হল নবরাত্রিতে (আইসিসিবি) ইসলামিক কনফারেন্সে বক্তরা এসব কথা বলেন। গার্ডিয়ান রিসার্চ ফাউন্ডেশন কনফারেন্সটির আয়োজন করে।
‘গ্লোবালাইজেশন অব ইসলাম উইথ দ্য ভিশন অব এ ইউনাইটেড উম্মাহ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এবং প্রধান বক্তা ছিলেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী। এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল ড. খলিলুর রহমান মাদানি প্রমুখ। কনফারেন্সে ড. মিজানুর রহমান আজহারী মহানবী (সা.)-এর ১২টি গুরুত্বপূর্ণ মানসিকতার ওপর আলোচনা করেন। যার মধ্যে একটি ছিল সংস্কার। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান সংস্কার কার্যক্রমে ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি। মদিনা সনদের উদাহরণ দিয়ে বলেন, এটি ছিল অন্তর্ভুক্তিমূলক সনদ, যা বর্তমান সংস্কার কমিটি কাজে লাগাতে পারে। নতুন বাংলাদেশ গঠনে তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ইসলামোফোবিয়াকে একটি সুপরিকল্পিত ভীতিরূপ হিসেবে উল্লেখ করেন।
এটি দূর করতে রাষ্ট্র ও সমাজের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের কোনো স্থান হবে না এবং সংখ্যালঘুরাও এখানে নিরাপদ থাকবে।