রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে এখন পর্যন্ত পাঁচটি প্যানেল ঘোষিত হয়েছে। এদের অধিকাংশ প্যানেলই অপূর্ণাঙ্গ রয়েছে। নেতারা বলছেন, মতাদর্শের পার্থক্য ও যোগ্য প্রার্থী সংকটে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল গঠনে জটিলতা হয়েছে। তবে ঘাটতি নিয়েই লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন পদপ্রার্থীরা। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এফ নজরুল ইসলাম বলেন, মনোনয়ন যাচাইবাছাই চলছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।
ঘোষিতদের মধ্যে শিবির ও ছাত্রদল পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে। তবে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের প্যানেল গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ, ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের প্যানেল অপরাজেয় একাত্তর অপ্রতিরোধ্য চব্বিশ এবং ছাত্র ফেডারেশন ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সমন্বিত রাকসু ফর রেডিক্যাল চেঞ্জ প্যানেলের বিভিন্ন পদ ফাঁকা রয়েছে। গঠনতন্ত্র অনুসারে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে ২৩ পদ ও হল সংসদে ১৫ পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, কেন্দ্রীয় সংসদে ৩৯৫ জন ও হল সংসদে ৭৩৪ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছে। ১৪ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশিত হবে। ঘোষিত প্যানেলের তথ্যমতে, রাকসু ফর রেডিক্যাল চেঞ্জ প্যানেলে মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক, সহ-মহিলা সম্পাদক, পরিবেশ ও সমাজসেবা সম্পাদক এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক পদে প্রার্থী দিতে পারেনি। অপরাজেয় একাত্তর অপ্রতিরোধ্য চব্বিশ প্যানেলে মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক, সহমিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক, সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক, বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও সহকারী সম্পাদক, মহিলা সম্পাদক ও সহকারী মহিলা সম্পাদক, ক্রীড়া ও খেলাধুলা সম্পাদক ও সহকারী সম্পাদক, বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক ও তিনটি কার্যনির্বাহী সদস্য পদ ফাঁকা রয়েছে।
গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী পর্ষদ প্যানেলে ফাঁকা রয়েছে মিডিয়া ও প্রকাশনা সম্পাদক, সহমহিলা সম্পাদক, সহকারী ক্রীড়া ও খেলাধুলা সম্পাদক ও সহকারী সম্পাদক, বিতর্ক ও সাহিত্য সম্পাদক ও সহকারী সম্পাদক পদ। এ ছাড়া হল সংসদে কমিটি দিতে পারেনি এসব প্যানেল।
নেতারা বলছেন, মতাদর্শের পার্থক্য ও যোগ্যতা সংকটে কেন্দ্রীয় সংসদ ও সিনেট সদস্য নির্বাচনে গুরুত্ব দিয়েই প্যানেল গঠন করা হয়েছে। অবস্থা দেখে হল সংসদের প্যানেল নিয়ে ভাবার কথা জানান তারা।