দুই দশক ধরে জামানতবিহীন এবং সার্ভিস চার্জমুক্ত ঋণ বিতরণ করেছে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন। এই ক্ষুদ্র ঋণের আওতায় প্রায় ৩০ হাজার পরিবার স্বাবলম্বী হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার জগন্নাথপুর আধুনিক অডিটোরিয়ামে ৭৯তম ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে ৩৩২ জন হতদরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত নারীর মাঝে ৬০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়। যার মধ্যে প্রথমবার ১৫ হাজার টাকা করে ৫৭ জন, দ্বিতীয়বার ১৫ হাজার টাকা করে ৭০ জন, তৃতীয়বার ২০ হাজার করে ২০৪ জনের মাঝে ৬০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়। ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ইমদাদুল হক মিলন, বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা এবং ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ডিজিএম মাইমুন কবির, বসুন্ধরা শুভসংঘের পরিচালক জাকারিয়া জামান, বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. চাঁন মিয়া সরকার, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র অফিসার আমির হোসেন আনোয়ার ও জালাল উদ্দিন প্রমুখ। এখানকার অনেক দরিদ্র নারী উদ্যোক্তাই এর আগে বিভিন্ন মাধ্যমে চড়া সুদে ঋণের ফাঁদে পড়ে হয়েছেন নিঃস্ব। আর সেখানে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সুদ-সার্ভিস চার্জমুক্ত এই ঋণ সহায়তায় জীবন পাল্টে গেছে তাদের।
২০০৫ সাল থেকে পরিচালিত সুদমুক্ত জামানতবিহীন এই ঋণ প্রকল্পের জন্য শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরই নয়, নবীনগর ও কুমিল্লার হোমনারও হাজার হাজার পরিবার হয়েছে স্বাবলম্বী।
ময়নাল হোসেন চৌধুরী বলেন, সুদ ও সার্ভিস চার্জমুক্ত এমন ঋণ প্রকল্প পরিচালনা করে বসুন্ধরা গ্রুপ একটি বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
আজকে তৃতীয় বারের মতো ঋণ নিতে এসেছেন ২০৪ জন। সাড়ে চার থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত আপনারা আমাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। এর মধ্যে প্রায় সবাই নানা কাজে এই টাকা ব্যবহার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমরা চাই যারা ঋণ নিচ্ছেন তারা এই টাকার সঠিক ব্যবহার করে স্বাবলম্বী হবেন। আপনারা স্বাবলম্বী হলেই আমরা সার্থক। এমনভাবে নিজেদের গঠন করবেন যেন আর কখনো ঋণ নিতে না হয়। ইমদাদুল হক মিলন বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের মাননীয় চেয়ারম্যানের সহায়তায় আজ থেকে ২০ বছর আগে এই কর্মসূচি চালু হয়েছে। এটা একটা মডেল কর্মসূচি। এর মাধ্যমে আপনারা স্বাবলম্বী হবেন। আপনাদের দেখে অন্যরাও নিজেদের স্বাবলম্বী করার চেষ্টা করবেন। যে উদ্দেশ্য নিয়ে আপনারা ঋণ গ্রহণ করছেন আপনাদের সেই উদ্দেশ্য যেন সফল হয়।