শিরোনাম
- সামাজিক নিঃসঙ্গতায় এআই হতে পারে সহচর, বিকল্প নয়: জাকারবার্গ
- গাজায় ক্ষুধায় মৃত্যু ঝুঁকিতে ৫ বছরের কম বয়সী সাড়ে ৩ হাজার শিশু
- উত্তেজনা বাড়িয়ে পাকিস্তানের বন্দরে ভিড়লো তুরস্কের যুদ্ধজাহাজ, উদ্বিগ্ন ভারত
- ঠাকুরগাঁওয়ে বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের কর্মবিরতি পালন
- গোবিপ্রবিতে গবেষণায় দক্ষতা বৃদ্ধিতে দুই দিনব্যাপী কর্মশালা
- যশোরে ইউপি চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের সাত নেতাকর্মী গ্রেফতার
- মানিকগঞ্জে বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের কর্মবিরতি
- সরকারের দেওয়া ক্ষতিপূরণের টাকা দিয়ে হত্যায় অভিযুক্তকে খুন!
- স্পেনের চলচ্চিত্র উৎসবে মনোনয়ন পেল ‘মাস্তুল’
- যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক আলকাট্রাজ কারাগার পুনরায় চালুর নির্দেশ ট্রাম্পের
- রাঙামাটিতে তরুণদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ সম্পন্ন
- যুবদল নেতা হত্যা : কক্সবাজারের সাবেক এমপি জাফর রিমান্ডে
- বাংলাদেশে চোখের চিকিৎসাব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানের
- হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলা : গাজীপুরে বিশেষ অভিযানে আটক ৫৪
- ৫ বিয়ে, নিঃসঙ্গ মৃত্যু, কাজহীন ১৮ বছর: বলিউড ভিলেনের করুণ পরিণতি
- বন্ধ্যত্বের বিশ্বমানের চিকিৎসা দেশেই
- আইনজীবী হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো চিন্ময় দাসকে
- বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ অ্যাস্থেটিক সার্জারি সেন্টার
- ইউক্রেনের সাথে শান্তি চুক্তি অনিবার্য, এটি সময়ের ব্যাপার মাত্র : পুতিন
- ঘরোয়া উপায়ে দূর হবে হাঁটু-কনুইয়ের কালো দাগ
শরীয়তপুরে ২২৮ জন প্রবাসীকে রাখা হয়েছে হোম কোয়ারেন্টাইনে
রোকনুজ্জামান পারভেজ, শরীয়তপুর
অনলাইন ভার্সন

ইতালি থেকে শরীয়তপুরে ফিরে আসা ২২৮ জন প্রবাসীকে রাখা হয়েছে হোম কোয়ারেন্টাইনে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডা. এস.এম. আব্দুল্লাহ্ আল মুরাদ। ইতালিতে করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করায় নানা শঙ্কা আর দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন শরীয়তপুরের ইতালি প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যরা।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, শরীয়তপুরের অন্তত ১ লাখ ৬২ হাজার মানুষ প্রবাসে থাকেন। তাদের অধিকাংশই ইতালিতে বসবাস করেন। এর মধ্যে নড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের রয়েছেন প্রায় ৭২ শতাংশ। ইতালি প্রবাসীরা নিয়মিত নড়িয়ায় যাতায়াত করছেন। তবে সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণে এসব প্রবাসীদের নিয়ে উদ্বিগ্ন তাদের পরিবার ও এলাকাবাসী।
ইতালির বিভিন্ন শহর থেকে নড়িয়ায় এসেছেন এমন কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ইতালিতে করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া ও দু’জন ইতালি ফেরত ব্যক্তির বাংলাদেশে এসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবরে ইতালিতে বসবাসরত প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা গেছে। দেশে এসেও এলাকায় বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ছেন এসব প্রবাসী।
নড়িয়া উপজেলার ফতেজঙ্গপুর ইউনিয়নের শামীম খালাসী বলেন, আমি ইতালির তুরিন শহরে থাকি। ২ দিন আগে আমি দেশে এসেছি। তবে আমার শরীর ভালো আছে। বিমানবন্দরে আমাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু গ্রামে আসার পর কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছি। আমি এসেছি জেনে কোনো আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধব দেখা করতে আসেনি। বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়াতে বেশিরভাগ সময়ই বাড়িতে থাকছি।
ইতালী প্রবাসীদের পরিবারের এক সদস্য হালিমা বেগম বলেন, আমার ছেলে ইতালিতে আছে কিন্ত কোন কাজকর্ম করতে পারছে না। বাসা থেকে বের হতে দিচ্ছে না। যার কারণে না খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে। ইতালিয়ান খাবার খেতে পারছে না। তারা সুস্থ আছে, কিন্ত না খেয়ে থাকলে তো অসুস্থ হয়ে পড়বে।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার দক্ষিণবালুচড়া এলাকার ইতালী প্রবাসী সৈয়দ আলমগীর ইতালি থেকে মোবাইল ফোনে জানান, করোনাভাইরাসের কারণে ইতালির সড়কগুলো বেশিরভাগ সময়ই ফাঁকা থাকে। ইতালি প্রবাসী বাঙালিরা বেকার হয়ে পরছে। এ রকম চলতে থাকলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে।
এ সংকট কাটাতে ইতালিতে বসবাসরত বাঙালিদের পাশে দাঁড়াতে সরকারে যথাযথ পদক্ষেপ কামনা করেছেন প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যরা। এদিকে শরীয়তপুরে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের জন্য আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। তবে এখনও পাওয়া যায়নি করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ যন্ত্র। সপ্তাহখানেক আগে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ যন্ত্র চেয়ে আবেদন করেছে শরীয়তপুর সিভিল সার্জন কর্তৃপক্ষ।
সিভিল সার্জন ডা. এস.এম. আব্দুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, সম্প্রতি ইতালি থেকে শরীয়তপুরে ফিরে আসা ২২৮ জন প্রবাসীকে রাখা হয়েছে হোম কোয়ারেন্টাইনে। কোনো ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হলে বা উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত তাকে চিকিৎসার আওতায় নেয়ার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঁচ শয্যার ও প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচ শয্যার করে আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। এছাড়া কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য ১০০ শয্যা প্রস্তুত করার কাজ চলছে।
তিনি বলেন, ইতালি থেকে শরীয়তপুরে যারা এসেছেন তাদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা তাদের খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। এছাড়া আক্রান্ত লোকজনের আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, জেলায় ৬টি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ৩টি ওয়ার্ড রয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে রেজিস্ট্রার রাখা হয়েছে যারা বিদেশ থেকে আশা লোকজনের তালিকা তৈরি করছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর