১ এপ্রিল, ২০২০ ১৭:৫৮

করোনায় জয়ী হয়ে যে ১৩ উপসর্গের কথা জানালেন এই সাংবাদিক

অনলাইন ডেস্ক

করোনায় জয়ী হয়ে যে ১৩ উপসর্গের কথা জানালেন এই সাংবাদিক

চীনের উহান থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এ ভাইরাস ইতোমধ্যে ২ শতাধিক দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বব্যাপী প্রতিনিয়তই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। 

এ পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮,৭৪,৬৩৫ এবং মারা গেছে ৪৩,৪৩১ জন। এছাড়াও সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে গেছেন ১,৮৪,৯৫২ জন। এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে নতুন ১৩টি উপসর্গের কথা জানালেন মার্কিন গণমাধ্যম ফক্স নিউজের এক নারী সাংবাদিক।

ক্যাথি অ্যারুই নামে এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক যখন কোভিড -১৯ এ আক্রান্ত হয়েছিলেন তখন করোনার সাধারণ যে লক্ষণগুলো বলা হচ্ছে তার একটিও অনুভব করতে পারেননি।

করোনাযুদ্ধে তিনি যেসব নতুন উপসর্গ ও অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন সেগুলো পাঠদের সাথে শেয়ার করেছেন। ফ্লোরিডা থেকে তিনি 'ফক্স অ্যান্ড ফ্রেন্ডস ফার্স্ট' নামের একটু অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে বলেন, 'আমি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের সংক্রমণে আক্রান্ত ছিলাম। আমার জন্য রেসপিরেটর দরকার ছিল না, কারণ আমার শ্বাসকষ্ট হয়নি। তবে আমি ১৩টি লক্ষণ পেয়েছি, যেগুলোর বেশিরভাগই নতুন।

ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পাঁচ দিন পর্যন্ত অ্যারুই যে লক্ষণগুলি পেয়েছেন যেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- স্বাদ এবং ক্ষুধা হ্রাস পাওয়া, মাথা ব্যথা, ঝাপসা দৃষ্টি, চোখ জ্বলা এবং জ্বর।

সুস্থ হওয়ার খুব অল্প সময়ের মধ্যেই, তার দুই কন্যা করোনায় সংক্রামিত হয়েছিল। বড় কন্যা ক্রিস্টিনার মধ্যে যেসব লক্ষণ ছিল তা হচ্ছে-জ্বর, ঠান্ডা লাগা, গ্যাস্টিকের সমস্যা, গলা ব্যথা, ক্লান্তি এবং মাথাব্যথা এবং ছোট কন্যা সোফিয়ায় শ্বাসকষ্ট, শুকনো কাশি, প্রচণ্ড বুক ব্যাথা, মাথা ব্যথা এবং ক্লান্তি ছিল।

প্রত্যেকের ক্ষেত্রে করোনায় আলাদা আলাদা অভিজ্ঞতা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটি এমন একটি ভাইরাস যেটা আপনার দুর্বলতাগুলো জানে এবং তার মতো করেই আক্রমন করে। ফলে একেক জনের ক্ষেত্রে একেক রকম লক্ষণ দেখা যায়।

তিনি বলেন, আমি প্রতিদিন তিনটি করে নতুন উপসর্গের মুখোমুখি হয়েছি এবং চার দিনের মধ্যে আমি কেবল বলেছিলাম যে আগামীকাল কী নিয়ে আসবে তা আমি জানি না।

অ্যারুই আরও বলেছিলেন, 'চিকিৎসক এবং মহামারি বিশেষজ্ঞরা উভয়েই বলেছিলেন, আগামীকাল কী উপসর্গ নিয়ে আসবে তা আমরা জানি না। এটি আমাদের কাছেও সত্যই নতুন। হ্যাঁ, পরের দিন কী নিয়ে আসছিল তা কেউ জানত না।'

আমি আসলে হাঁপানি পেয়েছি এবং আমার অল্প শ্বাসকষ্ট হয়েছে, তবে এজন্য আমি কেবলমাত্র ইনহেলার ব্যবহার করেছি এবং এটি আমার জন্য বড় লক্ষণ নয়। এটি সত্যিই খুব অস্পষ্ট ছিল।

অ্যারুই বলেছিলেন যে, ভাইরাসে সংক্রমণের আগে তিনি খুব সতর্ক ছিলেন। সেলফ-কোয়ারেন্টাাইনে ছিলেন এবং কোনো জরুরি প্রয়োজনেও বাইরে যেতেন না, এমনকি মুদি দোকানেও না।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

সর্বশেষ খবর