ঢাকা-নারায়নগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষের লালমনিরহাটে আসা যেন কোনমতেই বন্ধ হচ্ছে না। তারা মানছেন না সরকারি ও স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশনাও। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় সেখানে বিভিন্ন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন স্থানে কর্মরত ছিলেন তারা। এ অঞ্চলের নারী-পুরুষ গোপনে মালবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স মাইক্রোবাস, কাভার্ডভ্যানসহ বিভিন্নভাবে তাদের বাড়িতে আসছেন।
লালমনিরহাটের সদর, আদিতমারী, কালিগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রামে গত কয়েকদিনে দুই সহস্রাধিক মানুষ ওই সব এলাকা থেকে এসেছে বলে এলাকাবাসী ও প্রশাসনের বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। তবে যারা আসছেন তারা হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে অবাধে ঘোরাফেরা করছেন। তাই লালমনিরহাটে করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে করোনা মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন চিকিৎসক ও এলাকাবাসী। সোমবার গভীর রাতে শতাধিক মানুষ ট্রাকে করে ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে এসেছেন বলে নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন।
লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমরাও খবর পাচ্ছি করোনা আক্রান্ত নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে অসংখ্য মানুষ তাদের বাড়িতে এসেছেন। এটা চরম উদ্বেগের বিষয়। কারণ তাদের অনেকেই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে চাইছেন না। তবে পুলিশ এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসন সজাগ দৃষ্টি রাখছে।
তবে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বলেন, বাইরে থেকে লোকজনের লালমনিরহাট জেলায় অনুপ্রবেশ বন্ধে বিভিন্ন পয়েন্টে চেক পোষ্ট বসানোসহ বিশেষ নজরদারি রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় তথ্য অনুসন্ধান ও সুনির্দিষ্ট তালিকার ভিত্তিতে গত এক সপ্তাহে বিদেশিসহ মোট ১ হাজার জনকে জেলা পুলিশের বিশেষ উদ্যোগে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় নেয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল