ব্যবসায়িক ভিসায় ভারতে প্রবেশের পর কর্ণাটকের গোকর্ণ শহরে আধ্যাত্মিক অন্বেষণে বসবাস শুরু করেন এক রাশিয়ান নারী। ওই নারী হিন্দু ধর্ম ও ভারতীয় আধ্যাত্মিক রীতিনীতির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে গোকর্ণের রামতীর্থ পাহাড়ের একটি গুহায় বসবাস শুরু করেন। সেখান থেকেই সম্প্রতি তাকে ও তার দুই শিশুসন্তানকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১২ জুলাই) স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, উদ্ধার হওয়া ওই নারীর নাম নিনা কুতিনা ওরফে মোহি। তার দুই সন্তানের নাম প্রেয়া (৬) ও অমা (৪)।
জানা গেছে, ‘আধ্যাত্মিক প্রশান্তি ও ধ্যানের’ উদ্দেশ্যে উত্তর কান্নাডা জেলার পাহাড়ি গুহাটিতে অবস্থান করছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে পরিবারসহ অবস্থান করায় স্থানীয়দের নজরে আসে তারা। এরপরই প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, দুই সপ্তাহ ধরে ওই গুহায় ‘পূজা’ ও ধ্যান করে দিন কাটাচ্ছিলেন নিনা। প্রকৃতির মধ্যে আত্মিক শান্তি খুঁজছিলেন তিনি। এরই মধ্যে গতকাল শুক্রবার নিয়মিত টহলের সময় ওই গুহার বাইরে পোশাক ঝোলানো অবস্থায় দেখতে পান পুলিশ সদস্যরা। এরপর সেখানে গিয়ে নিনা ও তাঁর দুই সন্তানের খোঁজ পাওয়া যায়।
উত্তর কান্নাডার পুলিশ সুপার এম নারায়ণ বলেন, এই নারী ও তার সন্তানেরা কীভাবে জঙ্গলের মধ্যে ছিলেন এবং কী খেয়েছিলেন, তা বেশ বিস্ময়কর। সৌভাগ্যক্রমে জঙ্গলে থাকার সময় তার বা শিশুদের কারও সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটেনি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ২০১৭ সালে রাশিয়ার ওই নারীর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তিনি কত দিন ধরে ভারতে আছেন, তা জানা যায়নি। উদ্ধারের পর তাকে একটি আশ্রমে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভারতে রুশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে রাশিয়ায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সূত্র: এনডিটিভি
বিডি প্রতিদিন/মুসা