সবশেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ১২ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নের একেবারে কাছে চলে এসেছিল ইতালি। নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় ২০ ওভারের বিশ্বকাপ খেলার খুব কাছেই ছিল তারা। শেষ ম্যাচে তাই নেদারল্যান্ডসকে হারাতে পারলে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ইউরোপিয়ান অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপে যেত ইতালি। ডাচদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে হারলেও বিশ্বকাপ খেলা স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়নি তাদের।
জার্সির চেয়ে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে ২০২৬ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার টিকিট পেয়েছে ইতালি। ক্রিকেটের যেকোনো বিশ্বকাপে এবারই প্রথম অংশ নেবে দলটি। ইতিহাস গড়ে ১৫তম দল হিসেবে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে হতে যাওয়া বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছে আজ্জুরিরা।
প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে এক উইকেটে জয় পায় জার্সি। পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখা তারা। নেদারল্যান্ডস ও ইতালির ম্যাচে ডাচরা হারলেই দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপে সুযোগ পেতো জার্সি। সমীকরণ মিলিয়ে ইতালি হারলেও টিকিট পেতে পারতেন তারা। তবে কোনো সমীকরণই জার্সির পক্ষে যায়নি। স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে প্রবল সম্ভাবনা জাগালেও পয়েন্ট টেবিলের তিনে শেষ করতে হয়েছে তাদের।
হেগে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ইতালি। ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান সংগ্রহ করে তারা। ইতালি প্রত্যাশিত রান তুলতে না জার্সির স্বপ্ন তখনো বেঁচে ছিল।
সমীকরণ অনুযায়ী, নেদারল্যান্ডস যদি ১৪.১ ওভারের মধ্যে জিতে যায় তাহলে ডাচদের সঙ্গে বিশ্বকাপ খেলবে জার্সি। এমনটা অবশ্য হতে দেয়নি আজ্জুরিরা। পাওয়ার প্লেতে নেদারল্যান্ডস বিনা উইকেটে ৬৬ রান তোলার পরও ১৪.১ ওভারে জিততে দেয়নি ইতালি। শেষ পর্যন্ত ৩৭ রানে জিতে নেয় নেদারল্যান্ডস।
৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারলেও নেট রান রেটের কারণে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে জায়গা করে নেয় ইতালি। ডাচদের সমীকরণ মেলাতে না দেয় ম্যাচ হারার পরও ইতালির নেট রান রেট ছিল +০.৬১২। শেষ ওভারের রোমাঞ্চে স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপের আশা জাগিয়ে রাখা জার্সির নেট রান রেট ছিল +.৩০৬। যার ফলে ইউরোপিয়ান অঞ্চল থেকে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার টিকিট পায় ইতালি।
বিডি প্রতিদিন/কেএ