একটা সময় ঘড়ির বাজারের বেশ ভালো কদর ছিল। ঘড়ি হাতে দেওয়াকে মানুষ আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঘড়ি সবার হাতে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। ঘড়ির কথা চিন্তা করলে ৯০ দশকের কাঁটাওয়ালা ঘড়ি কিংবা ডিজিটাল ক্যাসিও ঘড়ির কথা এখনো সবার মনে উঠে আসে। স্মার্টফোনের আবিষ্কারের পর ঘড়ির কদর কিছুটা কমেছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঘড়ি হয়েছে স্মার্টওয়াচ। সময় বদলেছে ঘড়ির বাজারের আমদানিনির্ভরতা বেড়েছে। ব্যবসায়ী বেড়েছে তবে ব্যবসা কমেছে। ব্যবসায়িক নানা উত্থান-পতন হলেও রাজধানীর পাটুয়াটুলীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ঘড়ির বাজার এখনো সদর্পে টিকে আছে। তবে আভিজাত্য আর ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে পরিচিত ঘড়ির ব্যবসা এখন ধুঁকছে। রাজধানী সদরঘাট একটু আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেটের পেছনে স্বাধীনতার পূর্ব থেকে গড়ে উঠেছে ঘড়ির পাইকারি বাজার। চায়না এবং ভারত থেকে আমদানি করা ঘড়ি পাটুয়াটুলী থেকে সারা দেশে বিক্রি হয়ে থাকে। শুধু ঘড়ির বাজার নয় ঘড়ির যাবতীয় সমস্যাও সমাধান এখানে মিলে। ঘড়ির ফিতা থেকে শুরু করে ব্যাটারি ভিতরের যন্ত্রাংশ সহকারে সব কিছুই এখানে মেলে। তবে ঘড়ির রাজকীয় সেই ব্যবসা আজ ক্রেতাশূন্য প্রায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি করা ঘড়ির রমরমা বাজার এবং শুল্কের অপব্যবহারের কারণে দেশের মূল ঘড়ি বিক্রেতারা চরম সংকটে পড়েছেন। এতে শুধু তাদের ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না, বরং এ খাতের সঙ্গে জড়িত অসংখ্য মানুষের জীবিকাও হুমকির মুখে। অন্যান্য ব্যবসায়ী কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক্স পণ্যের সঙ্গে কর সুবিধা নিয়ে বিপুল পরিমাণ ঘড়ি আমদানি করছে এবং এগুলো কম দামে বাজারে ছেড়ে দিচ্ছে। এর ফলে যারা নিয়ম মেনে শুল্ক পরিশোধ করে ঘড়ি আমদানি করছেন, তারা প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছেন না। বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি এমন যে, ঘড়ি কেনাবেচা আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। এতে দেশের ঘড়ির বাজার ছোট হয়ে আসছে এবং প্রকৃত ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারিয়ে দেউলিয়া হওয়ার উপক্রম। বাংলাদেশ ঘড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. টিপু ভূঁইয়া বলেন, ঘড়ির বাজারে এখন কেনাবেচা নেই। ব্যবসায়ীদের দোকান ভাড়া ঠিক মতো ওঠে না। ঘড়ি হলো শখের জিনিস। যাদের টাকা আছে তারা কিনে। বর্তমানে ওয়াল ঘড়ি ছাড়া বেশির ভাগ ঘড়ি আমদানিনির্ভর। বাংলাদেশ ঘড়ি ব্যবসায়ী সমিতির সহ সভাপতি হাজী মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ঘড়ির বাজারে বড় সমস্যা অন্য আমদানিকারক ঘড়ি নিয়ে আসে। যাদের ঘড়ির লাইসেন্স আছে তার বাহিরেও অনেকে ঘড়ি নিয়ে আসে। এখন মোবাইলের ব্যবসায়ী, খেলনা ব্যবসায়ী, ইলেকট্রিক, হার্ডওয়্যারের ব্যবসায়ী, কম্পিউটার পার্টস ব্যবসায়ী ঘড়ি নিয়ে আসে, অনেক সময় তারা ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে নিয়ে এসে কম দামে বিক্রি করে। সেখানে আমরা পিছিয়ে পড়ছি। একসময় এ ব্যবসা রাজকীয় ছিল। আজ তা হারিয়ে যেতে বসেছে।
শিরোনাম
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১২ জুলাই)
- জাতীয়তাবাদের উদ্বিগ্ন হৃদয়
- রেকর্ড বইয়ের পাতায় ইংল্যান্ডের স্মিথ
- বিএনপির আদর্শ ও রাজনীতির সঙ্গে সন্ত্রাস-বর্বরতার কোনো সম্পর্ক নেই : মির্জা ফখরুল
- রাজধানীর মিরপুর থেকে ৫০টি দেশীয় বন্যপ্রাণী উদ্ধার
- ভিন্নমত থাকবে, কিন্তু অপরের মতকে সম্মান করতে হবে : আমীর খসরু
- ভারতের হয়ে যে রেকর্ড এখন শুধুই বুমরাহর
- বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-গোলাগুলির ঘটনায় ১০ নেতা বহিষ্কার
- পদ্মার ভাঙনে জাজিরায় দিশেহারা কয়েক হাজার মানুষ
- আগামী ৭২ ঘণ্টায় ফেনী জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে
- দেশে আসলো নতুন সুপারম্যান, সঙ্গে আছে জ্যাকি চ্যানও
- সাবালেঙ্কাকে হারিয়ে অঘটন, ফাইনালে অ্যানিসিমোভা
- মেয়েকে নিয়ে প্রথমবারের মতো গান গাইলেন ন্যান্সি
- আবারও ইংলিশ ফুটবলে ফিরছেন হেন্ডারসন
- ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় ক্যামেরুন ও মালাবির দু’টি স্থান
- সংবিধানে পরিবেশ অধিকারকে 'মৌলিক অধিকার' করার প্রস্তাব অ্যাটর্নি জেনারেলের
- মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৪
- বেরোবিতে ছাত্রীর আত্মহত্যা, লাশ নিয়ে লাইভ করার চেষ্টায় উত্তেজনা
- ১১ জুলাইকে ‘প্রথম প্রতিরোধ দিবস’ ঘোষণা উপদেষ্টা আসিফের
- বিএনপি দেশে দ্রুত গণতান্ত্রিক উত্তরণ চায় : গয়েশ্বর
ঘড়ির রাজকীয় ব্যবসা এখন ধুঁকছে
রাশেদ হোসাইন
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর