মোহাম্মদ সিরাজকে দারুণ শটে পয়েন্ট দিয়ে চার মারলেন জেমি স্মিথ। এই বাউন্ডারিতে টেস্ট ক্রিকেটে এক হাজার রানের ঠিকানায় পা রাখলেন ইংল্যান্ডের কিপার-ব্যাটসম্যান। তার নাম উঠে গেল রেকর্ড বইয়ের পাতায়।
ভারতের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে শুক্রবার (১১ জুলাই) দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় ওভারে বেন স্টোকসের বিদায়ের পর ব্যাটিংয়ে নামেন স্মিথ। হাজার ছুঁতে এ দিন তার প্রয়োজন ছিল স্রেফ ৩ রান। পঞ্চম বলেই কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছে যান ২৪ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।
হাজার ছুঁতে স্মিথের লাগল ২১ ইনিংস। টেস্ট ক্রিকেটে উইকেটকিপার হিসেবে দ্রুততম এক হাজার রানের যৌথ রেকর্ড এটি। ২১ ইনিংসে রেকর্ডটি গড়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক।
ইংল্যান্ডের উইকেটকিপার হিসেবে আগের রেকর্ড ছিল জনি বেয়ারস্টোর। তার লেগেছিল ২২ ইনিংস। বিশ্ব রেকর্ডের তালিকায় তিনি যৌথভাবে দুইয়ে আছেন শ্রীলঙ্কার দিনেশ চান্দিমালের সঙ্গে। কুমার সাঙ্গাকারা ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের লেগেছিল ২৩ ইনিংস।
উইকেটকিপার হিসেবে সবচেয়ে বল খেলে এক হাজার রানের রেকর্ডের চূড়ায় এখন স্মিথ। তার লেগেছে এক হাজার ৩০৩ বল। এক হাজার ৩১১ বলে হাজার ছুঁয়ে আগের রেকর্ডটি ছিল পাকিস্তানের সারফারাজ আহমেদের। তিন নম্বরে থাকা অ্যাডাম গিলক্রিস্টের লেগেছিল এক হাজার ৩৩০ বল।
ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে সবচেয়ে কম ইনিংসে এক হাজার রানের বিশ্ব রেকর্ড যৌথভাবে হার্বার্ট সাটক্লিফ ও স্যার এভারটন উইকসের, দুজনেরই লেগেছিল স্রেফ ১২ ইনিংস করে।
স্মিথ যে মাঠে হাজারের ঠিকানায় পা রাখলেন, সেই লর্ডসেই তার টেস্ট অভিষেক হয় গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। অভিষেকে ৭০ রানের দারুণ ইনিংস খেলে শুরু হয় তার যাত্রা।
ওই সিরিজে এজবাস্টন টেস্টে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে তিনি আউট হয়ে যান ৯৫ রানে। তবে পরের টেস্টেই প্রথম সেঞ্চুরি পেয়ে যান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে।
ভারতের বিপক্ষে সিরিজটা দারুণ কাটছে তার। হেডিংলিতে প্রথম টেস্টে জয়ের পথে দুই ইনিংসে করেন ৪০ ও অপরাজিত ৪৪। এজবাস্টন টেস্টে দল হারলেও, অপরাজিত ১৮৪ ও ৮৮ রানের দুর্দান্ত দুটি ইনিংস খেলেন তিনি, গড়েন ইংল্যান্ডের উইকেটকিপার হিসেবে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড।
পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন তিনি ক্রিকেট-তীর্থ লর্ডসেও। স্টোকসের বিদায়ে তিনি উইকেটে যাওয়ার পর দ্রুতই ফেরেন সেঞ্চুরিয়ান জো রুট ও ক্রিস ওকস। অষ্টম উইকেটে ব্রাইডন কার্সের সঙ্গে ৮৪ রানের জুটির পথে ৫৬ বলে ৬ চারে ৫১ রান করে ফেরেন স্মিথ।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ