টেস্টের পর ওয়ানডে। এরপর টি-২০। শুধু ফরম্যাটের পরিবর্তন। হারের বৃত্ত ভাঙতে পারছেন না লিটন, মিরাজরা। লড়াকু ক্রিকেট খেলতে ব্যর্থ হয়ে টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে। টি-২০ সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেছিল লিটন বাহিনী। কিন্তু সিরিজের প্রথম ম্যাচেই প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন হার। পাল্লেকেলের উইকেট পরিচিত। তারপরও প্রথম টি-২০ ম্যাচে রান করতে নাভিশ্বাস উঠেছে বাংলাদেশের ব্যাটারদের। ধীরলয়ের উইকেটে কোনো ৫০ রানের ইনিংস ছিল না। সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন পারভেজ হোসেন ইমন। অথচ একই উইকেটে আস্থাশীল ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে জয় উপহার দেন কুশল মেন্ডিস। ম্যাচ শেষে টাইগার স্পিন কোচ পাকিস্তানের লিজেন্ডারি লেগ স্পিনার মুশতাক আহমেদ প্রশংসা করেন কুশলের। মিডিয়ার মুখোমুখিতে স্পিন কোচ বলেন, ‘কুশল মেন্ডিস দারুণ ব্যাটিং করেছেন। আমাদের যারা ফর্মে আছে, ৩০-৪০ রান করে আউট হয়ে যাচ্ছে, তাদের কাউকে কুশলের মতো করে আমাদের হয়ে কাজটা করে দিতে হবে। আমাদের ব্যাটিংয়ের জন্য এটা জরুরি।’ মুশতাক ভুল বলেননি। প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই দেখা গেছে, আমাদের ব্যাটাররা দারুণ শুরু করেও ছন্দ হারিয়ে ফেলছেন। ইনিংসগুলোকে লম্বা করতে পারছেন না। কেন পারছেন না, এর কোনো ব্যাখ্যা নেই। ব্যাখ্যাও দিচ্ছেন না টাইগারদের সহকারী ও ব্যাটিং কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম সফল কোচ সালাউদ্দিন ব্যাটিং কোচ হওয়ার পর টাইগার ব্যাটারদের ধারাবাহিকতা নেই। দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে পারছেন না। দায়িত্ব নিয়ে ইনিংসগুলোকে বড় করতে পারছেন না। ঘরোয়া ক্রিকেটের সফল কোচ আন্তর্জাতিক এরিনার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছেন না। অথচ কিছুদিন আগে তিনি ক্রিকেটারদের দক্ষতা ও মানসিকতা নিয়ে কথা বলেছিলেন। বিসিবি অবশ্য একজন ভালোমানের ব্যাটিং কোচ খুঁজছে। সাবেক কোচ ও বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম ক্রিকেটারদের সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখেন। তিনি ক্রিকেটারদের টেকনিক্যাল দুর্বলতার কথা বলেন, ‘ইনিংসগুলোকে বড় করতে ক্রিকেটারদের যে মানসিকতা দরকার, সেখানে আমি ঘাটতি দেখছি। ক্রিকেটারদের ব্যাটিংয়ে টেকিনিক্যালি ঘাটতি দেখছি। এর কারণ হচ্ছে, ঘরোয়া ক্রিকেট। আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেট কম হয়। যেজন্য লড়াইয়ে মানসিকতা তৈরি হচ্ছে না ক্রিকেটারদের। আন্তর্জাতিক সাফল্য পেতে আপনাকে ঘরোয়া ক্রিকেটে অবশ্যই প্রতিযোগীমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেট খেলতে হবে।’