ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। ইউরোপের কঠিন মৌসুম শেষ করে আরও একটা টুর্নামেন্ট কতটা যৌক্তিক? এমন প্রশ্ন তুলেছেন ইয়ুর্গেন ক্লপের মতো কোচ। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে দর্শকদের অনুপস্থিতি বেশ শঙ্কায় ফেলেছিল আয়োজকদের। তবে দিনে দিনে ফুটবলপ্রেমীরা ক্লাব বিশ্বকাপে দলে দলে যোগ দিয়েছেন। গ্রুপ পর্বে প্রায় ৩৫ হাজার এবং নকআউট পর্বে প্রায় ৪৩ হাজার দর্শক গড়ে উপস্থিত ছিলেন। এ টুর্নামেন্ট নিয়ে নতুন আশা সঞ্চার হয়েছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফায়। ক্লাব বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনা করেছেন ফিফার ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের প্রধান আর্সেন ওয়েঙ্গার। তিনি বলেছেন, ‘আপনি ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া দলগুলোকে জিজ্ঞেস করুন, তারা কি এ টুর্নামেন্টে ফের খেলতে চায়? সবাই বলবে, খেলতে চায়।’ ফিফা চার বছর পর পর ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায়। পরের টুর্নামেন্ট হবে ২০২৯ সালে। চার বছর পরের সেই বিশ্বকাপও যুক্তরাষ্ট্রেই আয়োজন করতে চায় ফিফা। কারণ এখানে স্পন্সর পাওয়া যায় সহজেই। অবশ্য অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কাতার আর ব্রাজিলের মতো দেশগুলোও ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজনের আগ্রহ দেখিয়েছে। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ নিয়ে ফিফার ধারণাই ছিল বাস্তবসম্মত। দর্শকরা রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার সিটি, ইন্টার মায়ামি, পিএসজি, বায়ার্ন মিউনিখের মতো ক্লাবগুলোর খেলা দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে এসেছেন। তারা লিওনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপ্পে, আরলিং হলান্ড, ওসমান ডেম্বলে, হ্যারি কেইনদের খেলা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। এমন টুর্নামেন্ট দর্শকরাও চান। বিশ্ব সেরা ক্লাব এবং বিশ্ব সেরা ফুটবলারদের এক মঞ্চে দেখার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে এ টুর্নামেন্টে।
এমনকি ফিফা বিশ্বকাপেও এমনটা দেখার সুযোগ কমই হয়। এ কারণেই ক্লাব বিশ্বকাপ নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখছে ফিফা।