কভিড-১৯ করোনাভাইরাস মোকাবেলায় তুলনামূলকভাবে ভালো করছে নারী নেতৃত্ব। বর্তমান বিশ্বে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের ৭ ভাগের কম নারী। কিন্তু সংখ্যায় কম হলেও নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব ভালোভাবে সামলাচ্ছেন তারা। করোনাভাইরাস মোকাবেলায় তারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন অগ্রভাবে। নারীরা যেসব দেশে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তার অধিকাংশ দেশে এখনো করোনায় মৃত্যুর হার কম। বর্তমানে নিউ জিল্যান্ডে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। আক্রান্ত মাত্র ১ হাজার ৩৮৬। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশ অস্ট্রেলিয়াতে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছে ৬৩ জন। শুরু থেকেই পর্যটন খাত শাটডাউন ও মাসব্যাপী লকডাউন কার্যকর করায় সুফল পেয়েছে জাসিন্দা আর্দানের সরকার।
তাইওয়ানে প্রাথমিকভাবেই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ায় মহামারী করোনা নিয়ন্ত্রণে। এখন তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য অঞ্চলে মিলিয়ন মিলিয়ন মাস্ক রফতানি করছে। অ্যাঞ্জেলা মের্কেলের নেতৃত্বাধীন জার্মানিতে প্রতি সপ্তাহে ৩ লাখ ৫০ হাজারের মানুষের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে করোনায় সংক্রমিতদের শুরু থেকেই চিহ্নিত করে আইসোলেশনে নিয়ে কার্যকরভাবে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ১ লাখ ৩২ হাজার ছাড়ালেও মৃত্যুর সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, ইতালি ও ফ্রান্সের চেয়েও অনেক কম।
এছাড়াও আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ডসহ নর্ডিক অঞ্চলের ৫টি দেশের মধ্যে ৪টিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নারী। এসব দেশে করোনা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে। ব্যতিক্রম পুরুষশাসিত সুইডেন। সেখানে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছে ১ হাজার ৩৩।
নারী নেতৃত্বাধীন দেশে করোনা প্রতিরোধে সুফল পাওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, নারী নেতৃত্বরা করোনা মোকাবেলায় প্রথম থেকেই কাযকরী পদক্ষেপ নিয়েছেন। অপরদিকে বর্তমানে করোনার হটস্পটে পরিণত হওয়া যুক্তরাষ্ট্রের সরকার প্রধান ট্রাম্প বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস অবজ্ঞা করেছেন। ফল এখন দেশটিতে ৬ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছে ২৬ হাজারের বেশি মানুষ। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও শুরুর দিকে করোনা ভয়াবহতাকে গুরুত্ব দিতে চাননি। পরে তিনি নিজেই আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৯৩ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছে ১২ হাজার ১০৭ জন। তবে ব্যতিক্রম উদাহরণ দেখিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন। দেশটিতে করোনায় সংক্রমণের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়ালেও মৃত্যুর সংখ্যা মাত্র ২২৫।
সূত্র: সিএনএন
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা