নারায়ণগঞ্জ ফেরত গার্মেন্টসকর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর তার বাড়িসহ ৬টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের খাবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরবরাহ করা হবে। যে কোন সমস্যা হলে উপজেলা প্রশাসনের মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টায় হাকিমপুরের নওপাড়াতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রাফিউল আলম সরেজমিনে তার বাড়ি পরিদর্শন করে লকডাউন ঘোষণা করেন। এই সময় সেখানে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তৌহিদ আল হাসান, মেডিক্যাল অফিসার ডা. নাজমুস সাঈদ, ওসি আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ৩০ বছর বয়সের ওই যুবক গত ২১ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে হাকিমপুরে আসে। খবর পেয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। পরদিনই তার নমুনা পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সোমবার সন্ধ্যায় রিপোর্ট পাওয়ার পর রাতেই স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ সেই যুবকের বাড়ি পরিদর্শন করা হয়েছে। বর্তমানে সে সুস্থ আছে। তার শরীরে কোনও লক্ষণ নেই। ওই বাড়ির অন্য সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
এদিকে, দিনাজপুরে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ জন। এ তথ্য নিশ্চিত করেন দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুস।
দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুস জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৭৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ১৮৩১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সন্দেহে ১৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে হাসপাতলে পাঠানো হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় ৪৭৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং ৪০৪ জনের নমুনা পরীক্ষার ফলাফল আসে। সোমবার সন্ধ্যায় ৫১টির ফলাফল এসেছে এর মধ্যে একজনের পজিটিভ এবং বাকিগুলো নেগেটিভ।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ