৩১ অক্টোবর, ২০২০ ১২:৫৯

কানাডার আলবার্টায় করোনা সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে

আহসান রাজীব বুলবুল, কানাডা

কানাডার আলবার্টায় করোনা সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে

ফাইল ছবি

কানাডার আলবার্টা প্রদেশে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র শুক্রবার আলবার্টা

প্রদেশে ৬২২ জনের করোনাভাইরাসে আক্রান্তের এবং ৫ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে।

কানাডার স্থানীয় গণমাধ্যম সিবিসি নিউজ জানিয়েছে, হ্যালোইনের একদিন আগে, আলবার্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন রেকর্ডে গত দশ দিন ধরে গড়ে ৪৫০ জন করে নতুন করোনা রোগী আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা প্রদেশে ৫ হাজার ১৭২ জনে দাঁড়িয়েছে, যা আগের দিনের তুলনায় ২৫১ জনের বেশি ছিল। আলবার্টায় বর্তমানে ১৪০ জন হাসপাতালে রয়েছেন, তাদের মধ্যে ২৫ জন আইসিইউতে।

অন্যদিকে কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে স্বাস্থ্য অধিদফতর শুক্রবার ২৭২ জন নতুন রোগী শনাক্তের ঘোষণা দেয় এবং একজনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে।

একটি লিখিত বিবৃতিতে প্রদেশটি জানায় ব্রিটিশ কলম্বিয়াতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের রেকর্ড উচ্চতর। নতুন করে ২ হাজার ৩৯০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ৭৮ জন, ২৫ জন নিবিড় পরিচর্যায় আছেন। প্রাদেশে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৬৩ এ দাঁড়িয়েছে।

জনস্বাস্থ্য সক্রিয়ভাবে প্রদেশের ৬ হাজার ৩ জনকে পর্যবেক্ষণ করছে, যারা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার কারণে সেল্ফ আইসোলেশনে রয়েছেন।

অন্যদিকে অন্টারিও প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ডের নির্বাচনকেন্দ্রে একজন অফিস স্টাফের  করোনাভাইরাস পজিটিভ হওয়ায় ‌'নিকট ভবিষ্যতের জন্য' নির্বাচন কেন্দ্রটি বন্ধ করা হয়েছে। 

অন্যদিকে করোনা থেকে মুক্তির জন্য আরও টেকসই পদ্ধতির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন কানাডার শীর্ষ জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. থেরেসা ট্যাম। তিনি বলেন, করোনা মহামারি থেকে সফলভাবে পুনরুদ্ধারের জন্য ব্যাপক কাঠামোগত পরিবর্তন দরকার। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন থেরেসা ট্যাম। কাঠামোগত পরিবর্তনের জন্য সব স্তরে টেকসই উন্নতিন ওপর গুরুত্বারোপ করে জনস্বাস্থ্যের সক্ষমতা জোরদার করাও দরকার বলে জানান ট্যাম। এ ছাড়া তিনি বলেন, দেশের সবাই জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা পালন করে চলেছে, সেটি আমাদের নিশ্চিত করা দরকার।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৩১ হাজার ৯৯৯ জন। মারা গেছেন ১০ হাজার ১১০ জন,  সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩৭ জন। 
 
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ 

 

 

সর্বশেষ খবর