যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রিটেন, বেলজিয়াম, স্পেনসহ বেশ কয়েকটি দেশ মহামারী করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। একাধিক টিকার ঘোষণা এসেছে যেগুলোর কার্যকারিতা ৯০ ভাগেরও বেশি। একাধিক রাষ্ট্রপ্রধান জনসমক্ষে টিকা গ্রহণ করেছেন। এতে ভ্যাকসিন বিরোধী মানুষের সংখ্যা কমেছে। গলআপ, কাইজার ফ্যামিলি ফাউন্ডেশন এবং পিউ রিসার্চ সেন্টারের করা জরিপগুলোতে এ প্রমাণ পাওয়া গেছে।
জরিপে দেখা গেছে, ভ্যাকসিন নিতে সম্মত মানুষের সংখ্যা ৫০ শতাংশ থেকে বেড়ে এখন ৬০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। একটি জরিপে হারটি ছিল প্রায় ৭৩ শতাংশ পর্যন্ত। এ পরিসংখ্যানগুলো এখন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মাঝে স্বস্তি ফিরিয়ে দিয়েছে। তাদের মতে, ভ্যাকসিন গ্রহণে সম্মতি প্রদান করা এ হারটি হার্ড ইমিউনিটির জন্য যথেষ্ট।
২০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) ইঙ্গিত দিয়েছে, ভ্যাকসিন নিয়ে নিন্দা এবং গ্রহণযোগ্যতা দুটোই বাড়ছে। এখন তারা নিজেরাও বুঝতে পারছেন না মানুষ কি ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বে নাকি লাইন থেকে সরে দাঁড়াবে।
কাইজারের জরিপে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের ৭৫ শতাংশ নাগরিক বাসা থেকে বের হওয়ার সময় এখন মাস্ক পরছেন।
এ পরিবর্তনের পেছনে অবশ্য সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার সংযোগ রয়েছে। যেমন নির্বাচন দ্বারা প্রভাবিত হওয়া, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ফাইজার-বায়োএনটেক এবং মডার্নার ভ্যাকসিনের প্রায় ৯৫ শতাংশ কার্যকারিতা প্রদর্শন, ভ্যাকসিনের অপেক্ষাকৃত স্বল্প পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং নতুন করে সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া। এ কারণগুলো একীভূত হয়ে মূলত মানুষকে ভ্যাকসিন নেয়ার ব্যাপারে উৎসাহী করে তুলছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা