সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে করোনার যে নতুন উচ্চ সংক্রামক ধরন শনাক্ত হয়েছে সেটি অন্যান্য ধরনের মতোই বলে জানিয়েছে দেশটির পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট। তাদের পরিচালিত এক সমীক্ষার বরাতে বলেছে, করোনাভাইরাসের অন্যান্য ধরনের মতোই নতুন ভ্যারিয়ান্টটি কাজ করে। এতে বেশি অসুস্থ বা মৃত্যুর ঘটনা ঘটে না।
মধ্য ডিসেম্বরে করোনার এই নতুন ধরনটি শনাক্ত হওয়ার পরে বিভিন্ন দেশেও নতুন এই ভ্যারিয়ান্ট শনাক্ত হতে থাকে। এর প্রেক্ষিতে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ লন্ডনের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়।
লন্ডনের পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট ৩ হাজার ৫৩৮ জন করোনায় আক্রান্ত রোগীর ওপর গবেষণা পরিচালনা করেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৭৬৯ জনের মধ্যে করোনার নতুন ভ্যারিয়ান্ট শনাক্ত হয়।
এদের ওপর পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, এই দুই ভ্যারিয়ান্টের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। অসুস্থতার ক্ষেত্রেও নতুন ভ্যারিয়ান্ট বেশি কার্যকর নয় আগেরটার তুলনায়।
পরিচালিত গবেষণায় এসব করোনা আক্রান্ত রোগীদের ওয়ান টু ওয়ান পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট। সমীক্ষায় দেখা গেছে, হাসপাতালে ৪২ জন রোগীর মধ্যে ১৬ জনের নতুন ভ্যারিয়ান্ট শনাক্ত হয়েছে। আর বাকী ২৬ জনের আগের ভ্যারিয়ান্ট শনাক্ত হয়।
এই ১৬ জন রোগীর মধ্যে ১২ জন এবং ২৬ জনের মধ্যে ১০ জন মারা গেছেন। ২৮ দিনের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, নতুন ধরন এবং অন্যান্য ধরনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে তেমন কোনো পার্থক্য দেখা যায়নি। সূত্র: আরব নিউজ।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর