বাগেরহাটে করোনা হটস্পট মোংলায় এক মাসেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি করোনা সংক্রামণ। গত পাঁচ সপ্তাহে কঠোর বিধি-নিষেধ ও লকডাইনের মধ্যে বুধবার মোংলায় করোনা শনাক্তের হার ছিল ৪৫. ১৬ শতাংশ। গত এক মাস ধরে মোংলায় শনাক্তের গড় হার ৫৫ ভাগ। মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জীবিতেশ বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাগেরহাট জেলায় বুধবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ২৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৯১ জন। জেলায় করোনা শনাক্তের হার ৩৪.৪৬ শতাংশ। জেলায় নতুন করে করোনা আক্রান্তের মধ্যে রয়েছে বাগেরহাট সদর উপজেলায় ২১ জন, ফকিরহাটে ২১ জন, মোংলায় ১৪ জন, মোল্লাহাটে ১৩ জন, রামপালে ৯ জন, মোরেলগঞ্জে ৬ জন, শরণখোলায় ৫ জন, কচুয়া ১ জন ও চিতলমারীতে ১ জন। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩৯০ জন ও মৃত্যু হয়েছে ৮৬ জনের। বর্তমানে বাগেরহাটে ৫০ বেডের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৩৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৯৩৪ জন। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বাগেরহাটে করোনা সংক্রমণ হার অব্যাহত থাকায় জেলা প্রশাসনের এক সপ্তাহের লকডাউনের শেষ দিন (বুধবার) চলছে ঢিলেঢালাভাবে। লোকজন রাস্তায় ভিড় করছে। মানছে না কোন স্বাস্থ্যবিধি। লকডাউনের মধ্যে দূরপাল্লার পরিবহন ও বাস ছাড়া সব ধরনের গণপরিবহন অবাধে চলাচল করায় করোনা সংক্রমণের লাগাম টেনে রাখা যাচ্ছে না।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. মো. মিরাজুল করিম বলেন, লোকজন করোনা স্বাস্থ্যবিধি না মানায় বাগেরহাটে স্থানীয়ভাবে লকডাউন দিয়েও সংক্রমণের লাগাম টেনে রাখা যাচ্ছে না। বাগেরহাটের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে প্রতিদিনই রোগীর চাপ বাড়ছে। দিনদিন যেভাবে রোগীর চাপ বাড়ছে তাতে আমাদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বুধবার করোনার আক্রান্ত হয়ে ৩৬ জন ভর্তি রয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ