ঝিনাইদহে করোনা রোগী শনাক্তের জন্য আরটিপিসিআর ল্যাব ও আইসিইউ নেই। রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে পাশের জেলা যশোর ও কুষ্টিয়ায় পাঠাতে হয়। সেই নমুনার রিপোর্ট আসতে দুই থেকে তিনদিন সময় লাগে।
এতে রোগীদের দ্রুত করোনা শনাক্ত না হওয়ায় অনেক সময় পরিবার বা সামাজিকভাবে মানুষের সাথে মেলামেশা করতে থাকে। যার কারণে বর্তমানে ঝিনাইদহে করোনা ঝুঁকিপূর্ণ জেলায় পরিণত হয়েছে। তাছাড়া প্রতিদিন মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে মানুষের অনুপ্রবেশ ঘটছে। তাদের বিজিবি আটক করে পরীক্ষা করলে তাদের শরীরে প্রায় করোনা শনাক্ত হচ্ছে। ফলে ঝিনাইদহে বর্তমানে করোনা শনাক্ত ঊর্ধ্বমুখীর পথে।
জেলা হাসাপাতালে আইসিইউ ব্যবস্থা না থাকায় করোনা রোগী ঢাকা অথবা খুলনায় নিতে নিতে মারা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে আইসিইউ’র দাবিতে জেলার সাধারণ মানুষ মানবন্ধন করেছে। তারপরও কোনো ব্যবস্থা হয়নি বলে জানা গেছে।
এছাড়া জেলার মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলায় এবং করোনা শনাক্ত ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় গত ২২ জুন থেকে জেলা প্রশাসন সাতদিনের লকডাউন দেয়। জেলা ও উপজেলায় প্রতিদিন ১ থেকে তিনজন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাচ্ছেন। সর্বশেষে একদিনে পাঁচজন পর্যন্ত করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে অ্যান্টিজেন্ট টেস্টের ব্যবস্থা আছে ঝিনাইদহে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন সেলিনা পারভীন জানান, প্রতিদিন ১৫/১৬টি টেস্ট হয়। অ্যান্টিজেন্ট টেস্টের জন্য বেশি সময় লাগে না। দ্রুত রিপোর্ট দিতে সক্ষম ঝিনাইদহ স্বাস্থ্য বিভাগ।
বিডি প্রতিদিন/এমআই