বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংক্রমণ এড়াতে দেশব্যাপী সর্বাত্মক লকডাউনের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (২ জুলাই) রাঙামাটিতে কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন। রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশপাশি টহলরত ছিল সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানো হয়েছে চেক পোষ্ট।
যারা শাটডাউন অমান্য করে অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। শুধু শাটডাউন কার্যকর নয়, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিতরণ করা হচ্ছে মাস্কও। এই সাথে সামাজিক দূরুত্ব নিশ্চিত করতে অব্যাহত রাখা হয়েছে মাইকিংও।
শুক্রবার জুমার নামাজেও মসল্লিদের সামাজিক দুরুত্ব নিশ্চিত করে নামায আদায় করার জন্য নিদের্শনা দেওয়া হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। একই সাথে মসজিদ এলাকায় ভিড় না করার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন চেকপোস্টে মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। যাচাই করা হচ্ছে পরিচয়পত্র।
রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে দূর-পাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকায় একদমই বিচ্ছিন্ন রয়েছে পাহাড়ি এ অঞ্চলটি। শুধু তাই নয়, শহরেও বন্ধ রয়েছে সবধরণের যানবাহন চালাচল। বন্ধ রাখা হয়েছে মার্কেটসহ অন্যান্য দোকানপাট। ওষুধ ও হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করতে যারা বের হচ্ছে তাদের জন্য মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একই সাথে বিক্রেতাদেরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আর স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে বাজার এলাকায় যৌবাহিনীর মোবাইল টিম টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত