২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ২০:৪৮
চবির গবেষণা তথ্য

করোনাভাইরাসের টিকার ধারণা রাখেন ৯২ শতাংশ মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:

করোনাভাইরাসের টিকার ধারণা রাখেন ৯২ শতাংশ মানুষ

প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাসের টিকা সম্পর্কে ধারণা রাখেন ৯২ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সাধারণ মানুষ এ ধারণা পেয়েছেন। ৩৭ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ মনে করেন, টিকা নিলে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ৪৬ শতাংশ মনে করেন, টিকায় পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। তবে ১৬ দশমিক ৬ শতাংশের দাবি, করোনা টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় মৃত্যুঝুঁকি রয়েছে। 

তাছাড়া, ৬০ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ টিকা নিতে আগ্রহী হলেও এখনও ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ লোক টিকা নিতে চান না। এর মধ্যে অনেকে মনে করেন, প্রাকৃতিকভাবেই তারা সুরক্ষিত।       

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) একদল গবেষকের গবেষণায় এমন তথ্য ওঠে আসে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত পরিচালিত গবেষণায় দেশের বিভিন্ন স্থানের চার হাজার ১৭৫ জনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। চবির ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. অলক পালে নেতৃত্বে পরিচালিত গবেষণা- সহযোগী ছিলেন চবি পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনার্দন মহান্ত, সঞ্জীব ঘোষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মেডিসিন  বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুজত পাল। এছাড়াও যুক্ত ছিলেন আকিব জাবেদ, ফাহমিদা ইয়াসমিন, সুরঞ্জনা শিকদার, বিশ্বজিৎ চৌধুরী ও তপন কুমার নাথ। বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল ‘প্লাস ওয়ান’ গবেষণাটি প্রকাশিত হয়। তবে ছয় মাস আগে গবেষণা কাজটি করা হলেও প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চূড়ান্ত করতে সময় লেগে যায়। তাই বর্তমানে এ পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে মনে করেন গবেষক দল।

গবেষক দলের প্রধান চবির ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. অলক পাল বলেন, গবেষণাটি করোনার টিকাদান কার্যক্রমের শুরুর দিকে করা।  তখন মানুষের মধ্যে এ টিকা সম্পর্কে তেমন কোনও সচেতনতা ছিল না। যদিও বর্তমানে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়ছে। তবে এখনও নিম্ন আয়ের বিশাল একটি অংশ করোনার টিকার আওতায় আসেনি। গণটিকার মত কার্যক্রম আরও বাড়ানো হলে এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

গবেষণা দলের সদস্য চবি প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. দ্বৈপায়ন শিকদার বলেন, গবেষণা কাজটি বেশ কিছুদিন আগের। গবেষণার পুরো প্রক্রিয়া শেষ করে চূড়ান্ত করতে বেশ কিছুদিন সময় লেগে যায়। বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে তারতম্য থাকতে পারে। তবে ফলাফল যা-ই হোক, গণটিকার মতো কার্যক্রম আরও প্রসারিত করা প্রয়োজন।

চিকিৎসকরা মনে করেন, করোনার টিকা গ্রহণ করার পর কারও হাতে ব্যথা ও ফুলে যাওয়া, মাথাব্যথা, জ্বর, অবসাদ দেখা দেয়। শরীরে অ্যান্টিজেন প্রবেশ করার পর এ ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, যা স্বাভাবিক। এর কারণ, শরীরে বাইরে থেকে প্রবেশ করা কোনও কিছুর উপস্থিতি শনাক্ত হওয়া মাত্রই শ্বেত রক্তকণিকাগুলো ছড়িয়ে পড়ে।


বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার 

সর্বশেষ খবর