বাংলাদেশের মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণের প্রত্যাশা নিয়ে নিউজিল্যান্ডের দুগ্ধজাত খামারিদের সমবায় প্রতিষ্ঠান ফন্টেরার উৎপাদিত ‘এ্যাংকার ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার বাংলাদেশে নতুন করে যাত্রা শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ্যাংকার-এর নতুন মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
দেশের সব বয়সী মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণের প্রত্যাশায় মানুষের দ্বোরগোড়ায় ‘এ্যাংকার ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার’ পৌঁছে দিতে এ্যাংকার-এর এই নতুন যাত্রায় যুক্ত হয়েছে দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান এসিআই লিমিটেড-এর সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান এসিআই অ্যাগ্রোলিঙ্ক। এখন থেকে এসিআই অ্যাগ্রোলিঙ্ক এককভাবে এ্যাংকার-এর পরিবেশক হিসেবে কাজ করবে, প্রোমোট এবং বিক্রয় করবে।
এ্যাংকার-এর নতুন মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বারডেম-এর পুষ্টি বিভাগের প্রধান ড. শামসুন্নাহার নাহিদ মহুয়া, ফন্টেরার শ্রীলঙ্কা এবং ভারতীয় উপমহাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুনীল শেঠি; এসিআই অ্যাগ্রোলিঙ্ক লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডা. এফ এইচ আনসারি; এসিআই কনজ্যুমার ব্র্যান্ডস-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ আলমগীরসহ ফন্টেরা এবং এসিআই লিমিটেড-এর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
ফন্টেরার শ্রীলঙ্কা এবং ভারতীয় উপমহাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুনীল শেঠি বলেন, “ডেইরি নিউট্রিশন কোম্পানি হিসেবে ফন্টেরা উচ্চমানের দুগ্ধ পণ্য সরবরাহের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আনন্দিত যে আমাদের ‘গ্রাস টু গ্লাস সাপ্লাই চেইন’-এর মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের সকল পরিবারে উচ্চ গুণমানসম্পন্ন এ্যাংকার সরবরাহ করতে পারবো”।
তিনি আরও বলেন, “আমাদের দুধ খামারীগণ খামারেই দুধের মান পরীক্ষা করেন এবং সর্বাধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে যে ট্যাংকারগুলোতে দুধ সংগ্রহ করা হয় তাতেও পরীক্ষা করে দেখা হয়। আর এজন্যই সবচেয়ে গুণগত মানসম্পন্ন দুধ এ্যাংকার মিল্ক পাউডারে পরিণত হয়। প্রতিবছর আমরা ৬০ লক্ষের বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করি এবং প্রোডাক্ট রপ্তানি করার আগে নিশ্চিত করি আমাদানীকারক দেশের আইন অনুযায়ী সকল মান নিশ্চিত করা হয়েছে। নিউজিল্যান্ড দেশটি বাৎসরিক ২,০০০ ঘণ্টা সূর্যালোক, প্রচুর বৃষ্টিপাত, সহনীয় তাপমাত্রা এবং উর্বর ভূমি দ্বারা পরিবেষ্টিত। আর তাই এই পরিবেশ সবুজতম ঘাস উৎপাদনে সহায়ক। একারণেই নিউজিল্যান্ড পৃথিবীর সেই অল্প ক’টি দেশের একটি যেখানে সারা বছর গরু সবুজ ভূমিতে চারণ করে- যা থেকে উৎপন্ন হয় মজাদার ও পুষ্টিকর দুধ”।
এ্যাংকার ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডারে প্রোটিন, ক্যালিসিয়াম, ভিটামিন এবং মিনারেলসহ রয়েছে ২৩টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিগুণ। এ্যাংকার বিশেষভাবে নিউট্রিশক্তি দ্বারা গঠিত এবং এতে রয়েছে নিউট্রি-বান্ডেল যা বৃদ্ধি, শক্তি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় সাহায্য করে। অন্য খাদ্য কোম্পানিগুলো এবং বিভিন্ন ডেইরির তুলনায় এ্যাংকার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফন্টেরা নিউজিল্যান্ডের সাপ্লাই চেইন গ্রাস টু গ্লাস দ্বারা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত।
জাতীয় নিউট্রিশন নীতিমালা (২০১৫) অনুযায়ী, বেশিরভাগ বাংলাদেশীর খাদ্যাভ্যাস শস্যজাতীয় খাদ্যের ওপর নির্ভরশীল, যাতে সুষম খাদ্যের বিপরীতে বিভিন্ন উচ্চমানের প্রোটিন এবং খাদ্যপ্রাণ অনুপস্থিত। এই খাদ্যাভ্যাসের ফলে দেহে নানাবিধ পুষ্টি স্বল্পতার সৃষ্টি হয়। প্রোটিন এবং খাদ্যপ্রাণের জন্য দুধ ব্যাপকভাবে সমাদৃত এবং এটি জাতির পুষ্টির চাহিদা পূরণে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। উন্নত মানের দুগ্ধ পুষ্টির জন্য এ্যাংকার বিশ্বের বহুল স্বীকৃত ডেইরি ব্র্যান্ড, বিভিন্ন প্রজন্মের কাছে বিশ্বস্ত এবং ভালোবাসার একটি নাম যা, ৮০টিরও বেশি দেশে বিক্রি হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন