আলিবাবা ইকোসিস্টেমে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার সুবাদে দারাজ বাংলাদেশের হাতে এসে পৌঁছেছে কৃত্তিমবুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন একটি নতুন অনলাইন শপিং অ্যাপ। ইতোমধ্যেই আশা করা হচ্ছে যে অ্যাপটি বাংলাদেশের ই-কমার্স সেক্টরে একটি বিশাল পরিবর্তন আনবে।
একটি অতি উন্নত গ্রাহক অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য বাংলাদেশে দারাজ নিয়ে এসেছে আলিবাবার বিশ্বমানের ই-কমার্স প্রযুক্তি। নতুন দারাজ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনটি তাদের কথা মাথায় রেখে বানানো হয়েছে যারা আসলে কেনাকাটা করতে আগ্রহী কিন্তু সত্যিকার অর্থে জানেন না কোনটি কিনতে হবে। অ্যাপটিতে গ্রাহকদের আরও সাচ্ছন্দের সহিত কেনাকাটার সুবিধার্থে ৩ টি স্মার্ট অপশন রয়েছে। দারাজ অ্যাপের মাধ্যমে এই প্রথমবারের মতন গ্রাহকরা উপভোগ করবে “স্মার্ট সার্চ”। গ্রাহকের পছন্দসই পণ্যটি নিখুঁত ভাবে সন্ধান করাই ফিচারটির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য। এই প্রযুক্তির আরেকটি সুবিধা হল- 'পণ্য সুপারিশ বা প্রোডাক্ট রেকমেন্ডেশন”। স্মার্ট সার্চ ফিচারটির উপর ভিত্তি করে, দারাজ অ্যাপ ক্রেতাদের তাদের পছন্দসই পণ্যগুলি কিনতে কিছু মূল্যবান পরামর্শ দিবে। এ ছাড়াও, দারাজ মোবাইল অ্যাপ গ্রাহকের যৌথ পছন্দগুলি বুঝতে সক্ষম যেটি সম্ভব হচ্ছে আরেকটি নতুন ফিচার “কালেকশন”-এর মাধ্যমে।
উদাহরণস্বরূপ, একজন গ্রাহক যদি শীঘ্রই একটি সমুদ্র সৈকত পরিদর্শন করার পরিকল্পনা করে থাকেন তবে তাকে সানস্ক্রিন, ফ্লিপ-ফ্লপ, সাতারের পোশাক, শর্টস, তোয়ালে ইত্যাদি কিনতে হবে। আগে এইসব পণ্য কেনাকাটার জন্য গ্রাহককে একাধিক পেইজে সার্ফ করার প্রয়োজন পড়ত যা ছিল ক্লান্তিকর ও সময়সাপেক্ষ। কিন্তু এখন দারাজের ‘কালেকশন’ সেকশনে গ্রাহক সহজেই 'বিচ বোনানজা' নামক কালেকশন খুঁজে পেতে সক্ষম যার মাধ্যমে তারা এই সমস্ত পণ্য এক জায়গা থেকেই কিনতে পারবেন। মূলত নতুন দারাজ অ্যাপের ইন্টারফেস প্রতিটি গ্রাহকের জন্য হবে একদম আলাদা।
দারাজ বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, দারাজকে নতুন আঙ্গিকে সাজানোর ফলে ক্রেতা এবং উদ্যোক্তা উভয়ই লাভবান হচ্ছেন। আলিবাবার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক প্রযুক্তি এবং জ্ঞান দ্বারা দারাজ এখন গ্রাহকদেরকে আগের চেয়ে আরও উন্নত সেবা প্রদান করতে সক্ষম।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা