শরীর ও মনের জন্য একটি আদর্শ খাবার হচ্ছে দুধ। শিশুদের মস্তিষ্ক বিকাশ থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ, এনার্জি বুস্ট করা, স্ট্রেস কমানো, মজবুত দাঁত, হাড় ও পেশী গঠনে এমনকি ওজন কমাতেও দুধ একটি অপরিহার্য খাবার। কিন্তু দুধের গুণগতমান সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করতে পারলে তবেই সেটিকে সর্বোৎকৃষ্ট উপাদেয় খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করা যায়।
খামার থেকে সংগৃহীত দুধ বেশকিছু ধাপ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের পর বাজারে বিক্রির জন্য আসে। সেসব ধাপ ও প্রক্রিয়ায় দুধের গুণগতমান ক্ষুণ্ন হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। দুধের সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করতে তাই কিছু বিষয় সম্পর্কে জেনে নেয়া উচিত।
যেই খামার থেকে দুধ সংগ্রহ করা হয়, সেখানের দুগ্ধ চাষিরা ভালোভাবে গরুর লালন-পালন ও দেখাশোনা করছে কি-না। যেই কোম্পানির দুধ হিসেবে তা বাজারে আসবে, সেই কোম্পানির সঙ্গে দুগ্ধ চাষিদের কেমন সম্পর্ক। দুধ সংগ্রহের বিভিন্ন ধাপে গুণগতমান সম্পূর্ণভাবে ধরে রাখার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত করা হয়। খামার থেকে চিলিং সেন্টার, চিলিং সেন্টার থেকে ফ্যাক্টরি এবং সেখান থেকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে দোকান পর্যন্ত দুধ পৌঁছানোর প্রতিটি ধাপে দুধের মান সঠিকভাবে বজায় রাখতে কী কী করা হয়।
আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড দুধের গুণগতমান সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করতে খামার থেকে বাজারে আসা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে কঠোরভাবে মান নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। শুধুমাত্র ভোক্তাদের কাছে ভালো মানের পণ্য পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই নয়, দুগ্ধ চাষিদের উন্নয়নের লক্ষ্যেও তারা ভালো মানের দুধের উৎপাদন বৃদ্ধিতে নিরলসভাবে খামারিদের সঙ্গে সরাসরি কাজ করে যাচ্ছে। দেশের ডেইরি ফার্মগুলো চাষিদের গরু লালন-পালনে সঠিক দিক-নির্দেশনা, স্বল্প মূল্যে গো-খাদ্য সরবরাহ, চিকিৎসা দেওয়া, প্রয়োজনে বিনা সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দেওয়ার মত সুবিধাসহ বিভিন্ন ধরনের সহায়তা দিয়ে থাকে।
আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের ডেইরি ব্র্যান্ড ফার্ম ফ্রেশ খামারিদের কাছ থেকে সরাসরি দুধ সংগ্রহ করার সময় নিজস্ব পরীক্ষাগারে প্রয়োজনীয় মাইক্রোবায়োলজিকাল ও অ্যাডাল্টেরেশন পরীক্ষার মাধ্যমে গুণগতমান নিশ্চিত করে থাকে। তারপর নিজস্ব চিলিং সেন্টারে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে দুগ্ধ শীতলীকরণের পর নিজস্ব ট্যাংকারে নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রায় পরিবহন করে ফার্ম ফ্রেশের ফ্যাক্টরিতে আনা হয়।
ফ্যাক্টরিতে পুনরায় গুণগতমান পরীক্ষা করে দুধ রিসিভ করা হয়। সুইডেনের মেশিনে অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে তা প্রক্রিয়াজাত করা হয়। দুধ পাস্তুরিতকরণের পর সঠিক গুণগতমান নিশ্চিত করে ফার্ম ফ্রেশ দুধ তিন স্তর বিশিষ্ট প্যাকে বাজারজাতকরণ হয়ে থাকে। প্রতিটি দোকানে পৌঁছে দিতে পাস্তুরিত তরল দুধ পরিবহন করার সময় দুধের তাপমাত্রা চার ডিগ্রি বা এর নিচে রাখা হয়। দুধের সর্বোৎকৃষ্ট মান নিশ্চিত করতে দুধের প্যাকেটের গায়ে সংরক্ষণের যথাযথ পদ্ধতি সম্পর্কেও নির্দেশনা দেওয়া থাকে। ভোক্তাদের কাছে দুধের প্যাকেটটি পৌঁছানোর পরেও তাদের যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে ফার্ম ফ্রেশের রয়েছে কাস্টমার কেয়ার ম্যানেজমেন্ট ও সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট। যার মাধ্যমে ভোক্তারা তাদের পণ্যের সর্বোৎকৃষ্ট মান সম্পর্কে সুনিশ্চিত হতে পারবেন।
এবারের ক্যাম্পেইনে ফার্ম ফ্রেশ ব্র্যান্ডটি তাদের সম্পূর্ণ প্রসেসিং সম্পর্কেই ভোক্তাদের শুধুমাত্র ধারণা দিচ্ছেন না, বরং এর সঙ্গে আরও দাবি করছেন দিনে দিনে সম্পূর্ণ প্রসেসিংয়ের কাজটি করছেন বলে ফার্ম ফ্রেশ পাস্তুরিত তরল দুধ সবচেয়ে টাটকা।
যে কোম্পানির দুধ নিয়মিত খাওয়া হয়, সেই কোম্পানির এসব বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিকভাবে ধারণা রাখা অত্যন্ত জরুরি। ডেইরি কোম্পানিগুলোরও প্রয়োজন এসব ব্যাপারে স্বচ্ছতা বজায় রাখা ও ভোক্তাদের অবগত করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। তাই সবকিছু জেনে শুনে এমন একটি ব্র্যান্ড বেছে নেওয়াই শ্রেয়। যারা ভোক্তাদের এক বিন্দু পরিমাণ ভেজাল দুধ দিতেও দ্বিধাবোধ করে এবং দুধের বিশুদ্ধতা ও সর্বোৎকৃষ্ট মান সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করে থাকে।
সবচেয়ে টাটকা দুধের প্রতিশ্রুতিতে ‘খামার থেকে গ্লাসে দিনে দিনেই আসে’ শিরোনামে ফার্ম ফ্রেশ একটি নতুন ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। যার মাধ্যমে গ্রাহকরা পাস্তুরিত দুধের প্রক্রিয়াজাতকরণ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করতে পারবে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক
