দেশের পোশাকশিল্পের নিজস্ব ব্র্যান্ড ‘সারা’ লাইফস্টাইল লিমিটেড। এটি রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্পের সঙ্গে জড়িত স্নোটেক্স গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে রাজধানীর মিরপুর, বসুন্ধরা সিটি, মোহাম্মদপু ও উত্তরাতে ‘সারা’র আউটলেট চালু হয়েছে।
দেশিয়-আন্তর্জাতিকের মিশেলে স্বল্প মূল্যে ফ্যাশন হাউজটি থেকে নিজেদের পছন্দের পোশাক কিনছেন সব বয়সের মানুষ। তবে শুধু দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকা নয়, বিশ্ববাজারেও প্রতিষ্ঠিত হতে চায় ‘সারা’ লাইফস্টাইল লিমিটেড। মিরপুর ডিওএইচএসে লাইফস্টাইল ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সারা লাইফস্টাইল লিমিটেডের কর্মকর্তারা এমনটাই জানালেন। তাদের ভাষ্যমতে, সব বয়স ও শ্রেণীর মানুষের জন্য পোশাক তৈরি করছে সারা। স্বল্পমূল্য, টেকসই ও মানসম্মত পণ্য বাজারে আনার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
সারার সহকারী পরিচালক (অপারেশন) মো. মতিউর রহমান বলেন, আমরা সবসময় মার্কেট বিশ্লেষণ করি। আমাদের মূল লক্ষ্যই হলো ভালো মানের পণ্য ক্রেতাদের হাতে পৌঁছান। ইতোমধ্যে আমরা গ্রাহকদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি। তারমানে আমরা ভালো করছি, ভবিষ্যতে আরও ভালো করব। আমরা যতদূর এখন পর্যন্ত আসতে পেরেছি, এতে সন্তুষ্ট।
মো. মতিউর রহমান আরও জানান, তার টিমের সকলেই তরূণ ও উদ্যমী। ২০১৮ সাল থেকে তাদের সঙ্গে নিয়েই কাজ করছে সারা। প্রত্যেকেই নিজ নিজ কর্মদক্ষতায় সারাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বন্ধুত্বপূর্ণভাবে মার্চেন্ডাইজার ও ডিজাইনার টিম মিলে কাজ করছি। তাছাড়া নতুন কোম্পানির অনেক চ্যালেঞ্জ, তবে সেগুলো বড় কোনো বাধা নয়। সবাই মিলেই আমরা বাধাগুলো ওভারকাম করছি।
সারার সহকারী ব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রিয়ম ইবনে আমিন বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের যে অভিজ্ঞতা আছে সে অনুযায়ী টিম মেম্বারদের নিয়ে আমরা সারা ফ্যাশনকে এগিয়ে নিতে পারবো। অন্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় আমরা কম লাভে আমাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করছি। কেননা আমরা সবসময় চাই বাজেটের মধ্যে ক্রেতারা যেন আমাদের পণ্য কিনতে পারেন। কারণ সারা ক্রেতাদের কাছ থেকে স্বল্প লাভ করতে চায়। ’
সারার প্রধান ফ্যাশন ডিজাইনার ও বিভাগীয় সহকারী ব্যবস্থাপক সিলভিয়া স্বর্ণা। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ফ্যাশন হাউজগুলো যে ধরনের পোশাকগুলো তৈরি করছে আমারও সেগুলোকেই প্রাধান্য দিচ্ছি। মূলত ট্রেন্ড অনুযায়ী পোশাকগুলো আমরা বাজারে ছাড়ার চেষ্টা করছি। ক্রেতারা কোন ট্রেন্ডের পোশাক চাইছেন এগুলো মাথায় রেখে বিভিন্ন ডিজাইন, রং, প্যাটেন্ট অ্যানালাইজ করে কাজ করছি।’
স্বর্ণা আরও বলেন, ‘সিজন অ্যানালাইজ করে সামার, স্প্রিং, উইন্টারের ক্রেতারা কী চাচ্ছে তা ধারণা নিয়ে কাজ করছি। সিজনের পাশাপাশি অকেশন নিয়েও কাজ করছি। অকেশন অনুসারে ক্রেতাদের পোশাক দেওয়ার চেষ্টা করি।’
রাজধানীসহ প্রায় সারা দেশের মানুষ ঝুঁকে পড়ছেন ই-কমার্স সাইটগুলোতে। এক্ষত্রে চ্যালেঞ্জও অনেক বেশি। তারা কীভাবে সবার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করছেন সারা লাইফস্টাইল লিমিটেড। জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির ই-কমার্স প্রধান অসীম সাহা বলেন, তাদের চ্যালেঞ্জটা অনেক বড়। অনলাইনে পণ্য কিনতে ছাড় না দিলেও গ্রাহকের ঠিকানায় বিনামূল্যে পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে সারা। বৈশ্বিক ই-কমার্স সাইট আমাজনের সঙ্গেও তারা কাজ করছেন। পাশাপাশি তারা কিছু ক্যাম্পেইন করছেন।
সারা লাইফস্টাইল লিমিটেড'র জনসংযোগ বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক শেখ রাহাত অয়ন। তার কাছে এ প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানালেন, বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশি পণ্যগুলোও সমাজের বিভিন্ন স্তরে পৌঁছে দিতে চায় সারা। সারার মূল লক্ষ্য গ্রাহকদের মুখে হাসি ফোটানো। আর সেটা কম মূল্যে ভালো মানের পণ্য গ্রাহকের হাতে তুলে দেওয়া নয় শুধু, পাশাপাশি গ্রাহকের কাছে একটা আস্থার জায়গা তৈরি করতে বদ্ধ পরিকর সারা।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ