বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই- সেপ্টেম্বর) ৩৫৫৬ কোটি টাকা রাজস্ব অর্জন করেছে গ্রামীণফোন যা ২০১৯ সালের একই সময়ের তুলনায় ২.৮% কম। ২৫% মার্জিন নিয়ে এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটির কর পরবর্তী মুনাফা দাড়িঁয়েছে ৮৯০ কোটি টাকা। শেয়ার প্রতি মূল্য (ইপিএস) ৬.৫৯ টাকা। ৯ মাস শেষে গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহক সংখ্যা ৭ কোটি ৭৬ লাখ যার মধ্যে ৫৪.১% বা ৪ কোটি ২০ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, কোভিড-১৯ এর প্রথম মাস গুলোর তুলনায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ধীরে ধীরে শুরু হওয়ার বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন ব্যবসায়িকভাবে ফিরে আসতে শুরু করেছে। তবে এই প্রান্তিকে বিরুপ আবহায়া আমাদের ব্যবসায়িক কর্মকান্ডে প্রভাব ফেলেছে। মানুষের কাছে ফোরজি সেবা পেীছে দিতে তৃতীয় প্রান্তিকে আমাদের ফোরজি'র নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ উল্লেখযোগ্য পরিমান বেড়েছে। শক্তিশালী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা এ সময়ে গ্রাহকদের ফোরজিতে রুপান্তর করার উপর গুরুত্ব দিয়েছি। আগের প্রান্তিকের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে ৪.১% বেশি গ্রাহক আমাদের নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রস্তাবিত টাওয়ার গাইডলাইনের অনুমোদন দিয়েছেন যেটি আমাদের নতুন নেটওয়ার্ক সাইট স্থাপনে সহায়তা করবে এবং একই সাথে দেশব্যাপী গ্রাহকদের প্রযুক্তি ব্যবহারে আরও ভালো অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।তিনি বলেন, আমাদের মানসম্পন্ন পন্য, সেবার ধারাবাহিক উন্নয়ন এবং প্রযুক্তি দক্ষতা কাজে লাগিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে সাথে নিয়ে কার্যকর উদ্যোগের মাধ্যমে কভিড-১৯ মোকাবিলায় আমাদের প্রতিশ্রুতি পুর্নব্যক্ত করছি। আমাদের এমপ্লয়ী, পার্টনার এবং স্টেকহোল্ডারদের জন্য সর্তকতা বজায় রাখতে আমরা কভিড-১৯ পরিস্থিতি নিবিরভাবে পর্যবেক্ষন অব্যাহত রাখবো।
গ্রামীনফোনের সিএফও ইয়েন্স বেকার বলেন, ২০২০ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে রেকর্ড পরিমান বৃষ্টি ও বন্যা নতুনভাবে আমাদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৮.১% নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির পর তৃতীয় প্রান্তিকে আমরা উল্লেখযোগ্যভাবে ফিরে আসতে সমর্থ হয়েছি। এ সময়ে ভয়েস ও ডেটাসহ মোট রাজস্ব আদায়ে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২.৮% নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় প্রথম নয় মাসে ডিজিটাল রির্চাজে উল্লেখযোগ্য পরিমান প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। গ্রামীণফোন গ্রাহক সেবা উন্নয়নে ও ডেটার প্রবৃদ্ধিতে পরিকল্পিত বিনিয়োগের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরন অব্যাহত রেখেছে।
তৃতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন নেটওয়ার্ক উন্নয়নে ৩২০ কোটি (লাইসেন্স ও লিজ বাদে) টাকা বিনিয়োগ করেছে। এ সময়ে ১০৭০টি নতুন ফোরজি সাইট স্থাপন করা হয়েছে। সেপ্টেম্বর শেষে মোট নেটওয়ার্ক সাইটের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৬,৪৮১। ২০২০ সালের প্রথম ৯ মাসে গ্রামীণফোন সরকারের কোষাগারে কর, ভ্যাট, ডিউটি, ফোরজি লাইসেন্স ও স্পেকটার্ম এসাইনমেন্ট বাবদ মোট রাজস্বের ৬৮% বা ৭,১২৭ কোটি টাকা জমা দিয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ
