১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১২:১৫

আইসিটি খাতে সম্ভাবনার সঞ্চারণে হাত মেলাল হুয়াওয়ে ও বুয়েট

অনলাইন ডেস্ক

আইসিটি খাতে সম্ভাবনার সঞ্চারণে হাত মেলাল হুয়াওয়ে ও বুয়েট

আগামী দুই বছরে বিশ্ব আইসিটি ক্ষেত্রে সাত লাখেরও বেশি নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। আর দশ বছরের মধ্যে এই খাতের ব্যাপক সম্প্রসারণের ফলে প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় সাত কোটি পেশাদার আইসিটি কর্মীর ঘাটতি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের তরুণ আইসিটি শিক্ষার্থীরা যাতে বিশ্ব পেশাবাজারে নিজেদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জায়গা করে নিতে পারে সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে এক হয়ে বিশেষ আইসিটি একাডেমি পরিচালনা করতে চায় হুয়াওয়ে।  

সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) প্রথম আইসিটি একাডেমি স্থাপন করতে যাচ্ছে হুয়াওয়ে ও বুয়েট। এই উদ্দেশ্যে দুই পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। 

বুয়েট কাউন্সিল ভবনে অনুষ্ঠিত এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট লিনঝিজুন এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডক্টর সত্য প্রসাদ মজুমদার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এমওইউতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, এমপি। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়েছিলেন হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিওও তাও গুয়াংইয়াও। আরো উপস্থিত ছিলেন হুয়াওয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ ও বুয়েটের শিক্ষকবৃন্দ। 

চলতি বছরের এপ্রিলের মধ্যে বুয়েট একাডেমিক ভবনে তৈরি হবে এই বিশেষ ট্রেনিং সেন্টার যেখানে কারিগরি প্রযুক্তি ও যন্ত্রাংশ নিশ্চিত করা হবে। সাথে থাকবে কানেক্টিভিটি যার মাধ্যমে সারা বিশ্বের ১,২০০ এরও বেশি প্রশিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ করার সুযোগ পাবেন বুয়েটের শিক্ষার্থীগণ। ১৯টি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের ওপর ৮৩টি সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম থাকবে এখানে। আর এই কোর্স এবং সার্টিফিকেশন সমন্বয় করবে হুয়াওয়ে অথরাইজড ইনফরমেশন এণ্ড নেটওয়ার্ক একাডেমী (এইচএআইএনএ) যা মুলত: এই হুয়াওয়ে- বুয়েট আইসিটি একাডেমি । 

এই আইসিটি একাডেমি থেকে শিক্ষার্থীরা তাদের কৃতিত্বের ওপর ভিত্তি করে তিন ধরণের গ্রেড যেমন  অ্যাসোসিয়েট, প্রফেশনাল ও এক্সপার্ট; সার্টিফিকেট পাবেন। এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারের জন্য নিজেদের উপযুক্ত করে তৈরি করতে পারবেন এবং সবশেষে তাদের জন্য জব ফেয়ারেরও আয়োজন করা হবে। 
 
অলাভজনক শিক্ষা প্রোগ্রাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এই একাডেমিটি দু’টি বিষয়কে সামনে রেখে কাজ করবে। এর মধ্যে একটি হলো আইসিটি খাতের চাহিদা পূরণে ট্রেনিং ও লার্নিং সল্যুশন প্রদান করা; অন্যটি হলো আইসিটি খাতের জন্য একটি ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম তৈরি করা। 

সারা বিশ্বে এরকম ৯০০টিরও বেশি আই সিটি একাডেমী স্তাপনের পরিকল্পনা রয়েছে হুয়াওয়ের এবং প্রতি বছর এই একাডেমী গুলো থেকে ৪৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী বের হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বুয়েট থেকে ২৫০ জন শিক্ষার্থী এই ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণ করবে। এই পর্যন্ত পাকিস্তান, জাম্বিয়া ও চীনসহ আরও বেশ কিছু দেশে এই একাডেমি কার্যক্রম শুরু করেছে। 

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর