বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৩ ০০:০০ টা
সিরাজগঞ্জ

দুই জোটের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে

দুই জোটের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে

গত নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের ৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে পাঁচটিতে আওয়ামী লীগ এবং ১টি (সদর আসন) বিএনপি প্রার্থী জয়লাভ করেন। যে কারণে আসনগুলো পুনরুদ্ধারে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ আসনগুলো ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

সিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ সদরের একাংশ) : আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নেতৃত্বে এ আসনে রয়েছে আওয়ামী লীগের শক্ত সাংগঠনিক শক্তি। মামলাজনিত কারণে গত নির্বাচনে মোহাম্মদ নাসিম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারায় তার পরিবর্তে ছেলে ইঞ্জি. তানভীর শাকিল জয় মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হন। এবার পিতা-পুুত্র যে কোনো একজন এ আসনে নির্বাচন করবেন। এ ছাড়াও এ আসনে নতুন মুখ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শিল্পপতি রিয়াজ উদ্দিনের নামও শোনা যাচ্ছে। ১৮ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে শহর বিএনপির সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, জেলা বিএনপির সহসভাপতি মকবুল হোসেন চৌধুরী, জেলা বিএনপির সদস্য টি এম তাজিবুল ইনাম তুষার, পৌর মেয়র আবদুস সালাম, উপজেলা বিএনপির সভাপতি সেলিম রেজা ও সদ্য বিএনপিতে যোগদানকারী কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা মনোনয়ন চাইবেন।

সিরাজগঞ্জ-২ (সদরের একাংশ ও কামারখন্দ) : গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদিকা জান্নাত আরা হেনরী ১৮ দলীয় জোট মনোনীত প্রার্থী সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর স্ত্রী রুমানা মাহমুদের কাছে অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। মামলাজনিত কারণে সে সময় টুকু নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। আসন্ন নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক আওয়ামী লীগ নেতা নতুন মুখ ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান বীরবিক্রম, জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী, জাতীয় যুব সংহতির সাবেক সভাপতি আমিনুল ইসলাম ঝন্টু, ১৮ দলের একক প্রার্থী হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সভাপতি ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু গণসংযোগ করছেন। এ ছাড়াও সিরাজগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র টি আর এম নুর-ই আলম হেলাল স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে।

সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) : গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের গাজী ইসহাক হোসেন তালুকদার বিএনপির আবদুল মান্নান তালুকদারকে হারিয়ে নির্বাচিত হন। আসন্ন নির্বাচনে গাজী ইসহাক হোসেন তালুকদার, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুর, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শিল্পপতি লুৎফর রহমান দিলু, তাড়াশ উপজেলা চেয়ারম্যান ম. ম. আমজাদ হোসেন মিলন, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিটা কে আফজাল ও কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুইটের নাম শোনা যাচ্ছে। অপরদিকে, ১৮ দলীয় জোটের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন, সাবেক এমপি আবদুল মান্নান তালুকদার, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল ইসলাম শিশির, তাড়াশ উপজেলা বিএনপি নেতা খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর, ব্যবসায়ী আলহাজ দুলাল হোসেন খান, রায়গঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমান তালুকদার এবং চান্দাইকোনা কলেজের সাবেক ভিপি ও যুবদল সভাপতি আয়নুল হক।

সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) : এ আসনে মহাজোট থেকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বর্তমান এমপি গাজী শফিকুল ইসলাম শফি, জনপ্রশাসনবিষয়ক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের ছেলে তানভীর ইমাম, সাবেক এমপি আবদুল লতিফ মির্জার মেয়ে মুক্তি মির্জা, সাবেক পৌর মেয়র মারুফ বিন হাবিব, উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী জাহেদুল ইসলাম, জাপা (এরশাদ) নেতা জাহাঙ্গীর আলম হিল্টন এবং ১৮ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে সাবেক এমপি এম আকবর আলী, কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য আবদুল ওয়াহাব, বিএনপি নেতা এ ওয়াই কামাল, কাজী কামাল, জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খান ও নারীনেত্রী অ্যাড. সিমকী ইমাম মাঠে নেমেছেন।

সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি ও চৌহালী) : গত নির্বাচনে আবদুল লতিফ বিশ্বাস বিএনপি প্রার্থী মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদেরকে অল্প ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে এমপি নির্বাচিত হন। এবারও আবদুল লতিফ বিশ্বাস, সাবেক এমপি অধ্যাপক শাহজাহান আলী, সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ প্রশাসক আবদুল মজিদ মণ্ডল, চৌহালী উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ডা. আবুবক্কর সিদ্দিক ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাড. আবদুর রহমান রানা (পিপি) ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের ক্রীড়া সম্পাদক মুশফিকুর রহমান মোহনের নাম শোনা যাচ্ছে। অপরদিকে, ১৮ দলের পক্ষ থেকে নতুন মুখ কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের, বিএনপি নেতা গোলাম মওলা খান বাবলু ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আনছার আলী সিদ্দিকীর ছেলে মেজর (অব.) মামুন গণসংযোগ করছেন।

সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) : এ আসনে গত নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী কামরুদ্দিন এহিয়া খান মজলিসকে হারিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী চয়ন ইসলাম এমপি নির্বাচিত হন। আসন্ন নির্বাচনে মহাজোট থেকে বর্তমান এমপি চয়ন ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান হাসিবুর রহমান স্বপন, সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ প্রশাসক আবদুল মজিদ মণ্ডল ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক ড. সাজ্জাদুল হায়দার লিটন মনোনয়নপ্রত্যাশী। অপরদিকে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট থেকে সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত ডা. এম এ মতিনের ছেলে তরুণ চিকিৎসক এম এ মুহিত, সাবেক এমপি কামরুদ্দিন এহিয়া খান মজলিস ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি হোসেন শহীদ মোহাম্মদ গ্যাদন ও পৌর বিএনপির সভাপতি তারিকুল ইসলাম আরিফ মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর