গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে নিজ ঘরে গলা কেটে উত্তম হত্যার তদন্ত চালিয়ে ১০ দিন পর আলামত পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ডুবুরি দলের সহযোগিতায় প্রথমে চেষ্টা করা হলেও কাঁদার পরিমাণ বেশির কারণে সম্ভব না হওয়ায় পরে সেচ দিয়ে পুকুরের তলদেশ থেকে আলামত হিসেবে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে একটি কুড়াল, দুটি চাকু ও একটি হাঁসুয়া উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে নিহত উত্তমের স্ত্রী আটক ললিতা রানীর তথ্য মতে বুধবার তার প্রেমিক আটক স্বদেশ চন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী আলামত উদ্ধার করা হয়। নিহত উত্তম সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তাঁতীপাড়ার নিবারণ চন্দ্রের ছেলে। নিহত উত্তমের স্ত্রী ললিতা রানীর প্রেমিক স্বদেশ চন্দ্র তাঁতীপাড়ার সম্ভু চন্দ্রের ছেলে। হত্যাকা টি প্রেমঘটিত বলে স্থানীয় জনশ্রুতি রয়েছে। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নিজ শয়ন ঘরে উত্তমকে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। থানার ওসি আব্দুল্লাহিল জামান জানান, উত্তম হত্যাকাে র রহস্য প্রায় ৯০% উদ্ঘাটন হয়েছে। ললিতা রানী ও তার প্রেমিক স্বদেশ চন্দ্র আটকের বিষয়টি অফিশিয়ালি জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে তিনি বলেন এ মুহূর্তে তদন্তের স্বার্থে কিছুই বলা যাচ্ছে না। আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে জানানো সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।
