সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

কলাপাড়ায় তরমুজের বাজারে ক্রেতা নেই

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

কলাপাড়ায় তরমুজের বাজারে ক্রেতা নেই

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ক্রেতা সংকটের কারণে  লোকসানের মুখে পড়েছেন তরমুজ ব্যবসায়ীরা। করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সারা দেশের মতো এ উপজেলায় চলছে লকডাউন। তাই ঘর থেকে লোকজন বাইরে বের হচ্ছে না। ফলে স্থানীয় বাজারগুলোতে তরমুজের চাহিদাও কমে গেছে। এ ছাড়া ক্রেতা কমে যাওয়ার কারণে অনেকের মজুদ করা তরমুজ পচন ধরতে শুরু করেছে বলে স্থানীয় তরমুজ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। তরমুজ ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ধানখালী, চম্পাপুর, লতাচাপলী, ধুলাসার ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে এ বছর  তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষক এর সুফল পেয়েছে। লকডাউনের আগে অধিকাংশ চাষি তাদের খেত বিক্রি করতে পেরেছে বিধায় চাষিরা ভালো দাম পেয়েছে তরমুজের। খুচরা বিক্রেতারা ট্রাক মূলে তরমুজ ক্রয়ের পর হঠাৎ লকডাউনের ঘোষণা আসায় পৌর এলাকায় লোক সমাগম কমে গেছে। দেখা দিয়েছে ক্রেতা সংকট। তরমুজ ব্যবসায়ী ইউনুচ বলেন, লকডাউনের কারণে ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে। দু-চারটা যা বিক্রি করছি তাতে ভালো দাম পাচ্ছি না। জলিল নামে এক ব্যবসায়ী জানান, তিনি এক সপ্তাহ আগে তরমুজ কিনেছেন। বিক্রি কম হওয়ায় তার কিছু কিছু তরমুজে পচন ধরেছে। অপর ব্যবসায়ী আনসার আলী জানান, হঠাৎ খাওয়া কমে গেছে।

কাঁচামাল মজুদ করারও কোনো সুযোগ নেই। তার অন্তত সহস্রাধিক পিস তরমুজ কেনা ছিল। লকডাউনের পর থেকে ক্রেতা কমে যাওয়ায় তরমুজ বিক্রি করতে পারেননি। আগেভাগেই তরমুজ খেত কিনে বিপাকে পড়েছি। বিক্রি করে উঠতে পারলে ভালো। না হয় লোকসানের বোঝা বহন করতে হবে বলে এই তরমুজ ব্যবসায়ী জানিয়েছেন। কলাপাড়া বন্দর সমিতির অর্থ সম্পদক মো. ফরিদ উদ্দিন বিপু বলেন, করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সারা দেশের মতো কলাপাড়ায় চলছে লকডাউন। তাই ঘর থেকে লোকজন বাইরে বের হচ্ছে না। ফলে স্থানীয় বাজারগুলোতে তরমুজের চাহিদাও কমে গেছে। ফলে তরমুজ ব্যবসায়ীরা লোকসানের শঙ্কায় রয়েছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মান্নান বলেন, এ উপজেলায় ১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। লকডাউনের আগেভাগেই চাষিরা খেতের তরমুজ বিক্রি করে দিয়েছেন। ওই সময় তারা দামও ভালো পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর