জিন হাজিরের মাধ্যমে নিঃসন্তান নারীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে বগুড়ার শিবগঞ্জ থানা পুলিশ হাফেজ রোমান ওরফে রুম্মান হাসন নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। পরে তার আস্তানায় অভিযান চালিয়ে মৃত মানুষের মাথার খুলি যৌন উত্তেজক ওষুধ, জাদুটোনা করার সরঞ্জাম ও তাবিজ উদ্ধার করেছে। গত শনিবার রাতে শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
বিহার ফকিরপাড়া গ্রামে আস্থানা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। হাফেজ রুম্মান হাসান বিহার ফকির পাড়ার আজাহার আলী ফকিরের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, আজাহার আলী ফকির দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় তাবিজ-কবজ করে মানুষের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে আসছিলেন। তার ছেলে রোমান ওরফে রুম্মান হাসান স্থানীয় একটি কওমি মাদরাসায় লেখাপড়া শেষ করে তার বাবার সঙ্গে তাবিজ-কবজের ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে রুম্মান বাড়িতেই আস্তানা খুলে বসেন। সেখানে দূর-দূরান্ত থেকে নারীরা আসত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান নিতে। রুম্মান এলাকায় প্রচার করতেন তিনি জিন হাজিরের মাধ্যমে ভবিষ্যদ্বাণী বলে দিতে পারেন। এ কারণে নিঃসন্তান নারী ও প্রবাসীদের স্ত্রীরা তার বাড়িতে ভিড় জমাতেন। স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ মিটিয়ে দেওয়া, প্রেমের সস্পর্ক স্থাপন করে দেওয়া থেকে শুরু করে সব ধরনের সমস্যার সমাধানের নামে তিনি নারীদের যৌন হয়রানি ছাড়া টাকা পয়সা হাতিয়ে নিতেন। কিন্তু সামাজিক মান সম্মানের ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেন না। গত শনিবার শিবগঞ্জ থানার আটমুল ইউনিয়নের চক কানু গ্রামের এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বাড়ি থেকে রুম্মান হাসানকে গ্রেফতারের পর তার আস্তানায় অভিযান চালায়। এ সময় সেখান থেকে মৃত মানুষের মাথার একটি খুলি, যৌন উত্তেজক ওষুধ, জাদুর ঝুলি, বিভিন্ন সরঞ্জাম, তাবিজ-কবজ উদ্ধার করে। শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারের পর রোমানের বিরুদ্ধে নারীদের যৌন হয়রানির অসংখ্য অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
