সোমবার, ৮ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

সেতু নির্মাণে ধীরগতি, জনদুর্ভোগ

মোশাররফ হোসেন বেলাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

সেতু নির্মাণে ধীরগতি, জনদুর্ভোগ

আখাউড়া-বনগজ এলাকায় নির্মাণাধীন সেতু -বাংলাদেশ প্রতিদিন

নির্মাণের সময় এক বছর ধরা হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায়-বনগজ এলাকায় সাড়ে চার বছর ধরে একটি  সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। সেতুটি নির্মাণ না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয় এলাকার হাজার হাজার মানুষ। সেতু না থাকায় প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মানুষ যাতায়াত করছেন। সেতুটি নির্মাণ হলে স্বল্প সময়ে এবং কম খরচে উপজেলা সদরসহ জেলা শহরে যাতায়াত করতে পারতেন সাধারণ মানুষ। জানা গেছে, আখাউড়া বড়বাজার থেকে ধরখার পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটার একটি সড়ক রয়েছে। এ সড়ক দিয়ে উপজেলার পশ্চিপাঞ্চল ধরখার ইউনিয়নের ১৫-১৬টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে প্রতিদিন চলাচল করতে হয়। এ ছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, রেলওয়ে স্টেশন, স্কুল-কলেজে যাওয়াসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে মানুষ এ সড়কটি ব্যবহার করতে হয়। এতে সময় এবং কম খরচও কম লাগে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের বনগজ এলাকায় একটি খালে কুড়ের কারণে যানবাহন চলাচল করতে পারত না। এলাকাবাসীর এ দুর্ভোগ লাঘবের জন্য স্থানীয় এমপি ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ২০১৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি কুড়ের ওপর একটি সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। যার দৈর্ঘ্য ৯৬.১০ মিটার ও প্রস্থ সাড়ে ৫ মিটার। সেতুর দরপত্র মূল্য ৫ কোটি ৫৭ লাখ ৪১ হাজার ৯২৭ টাকা। সময় ধরা হয় এক বছর। কিন্তু গত সাড়ে ৪ বছরেও সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। ইয়াসিন নামে এক যুবক অভিযোগ করেন, ৪-৫ বছর ধরে কাজ চলছে। এখনো কাজ শেষ হয়নি। ঠিকাদার অল্প শ্রমিক দিয়ে কাজ করার কারণে এত দেরি হচ্ছে। জান্নাতুল ফেরদৌস তুলি নামে এক নারী বলেন, এ সেতুটি নির্মাণ হলে আমরা স্বল্প সময়ে উপজেলা ও জেলা শহরে যাতায়াত করতে পারব। সেতুটি নির্মাণ না হওয়ায় অনেক ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। রাতের বেলা প্রয়োজনে যাতায়াত করা যায় না। এ সড়ক দিয়ে নিয়মিত চলাচল করেন বনগজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু জাফর। তিনি বলেন, এ সেতুটি বনগজ এলাকার দুঃখ। এ এলাকায় তিনটি সরকরি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে শিক্ষকরা এখানে আসতে চায় না। ছাত্রছাত্রীরাও কষ্ট করে যাতায়াত করে।

সেতুর ঠিকাদার মো. খাইরুল হাসান বলেন, সেতুর ডিজাইনে ত্রুটির কারণে কাজ শুরু করতে অসুবিধা হয়। ডিজাইন পরিবর্তন করার পর কাজ শুরু করি। এখন কাজ অনেক এগিয়ে গেছে। আশা করি ৫-৬ মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। আখাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল লতিফ বলেন,  দুবার সেতুর ডিজাইন পরিবর্তন করা হয়। এ জন্য সেতুটি নির্মাণে দেরি হচ্ছে। আশা করি দ্রুত কাজ শেষ হয়ে যাবে।

সর্বশেষ খবর