নড়িয়ার মোক্তারের চর থেকে সুরেশ্বর লঞ্চঘাট পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার নদীর তীরে দাঁড়ালে যে কারও মন খারাপ হয়ে যেত। পদ্মার ভয়াল গ্রাসে নিঃস্ব মানুষের আতঙ্ক, দীর্ঘশ্বাস আর কান্নার আওয়াজ পাওয়া যেত অহরহ। সেই আতঙ্কের এলাকাই এখন দৃষ্টিনন্দন। কংক্রিটের তৈরি ব্লকে সাজানো হাঁটার স্থান, তীর ঘেঁষে সড়ক বাতি, নদীর তীরে বসার স্থান আর ঝাউ গাছের ওপর নদীর হাওয়া আছড়ে পড়ায় দৃশ্য যে কোনো মানুষের মন ভালো করে দেবে। দৃষ্টিনন্দন ৮ কিলোমিটার এলাকার তীররক্ষা বাঁধের ‘জয় বাংলা এভিনিউ’ নামকরণ করা হয়েছে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে নড়িয়ার ১ হাজার ১০০ মুক্তিযোদ্ধার প্রতি সম্মান জানাতে এই সিদ্ধান্ত। স্বাধীনতা দিবসে শনিবার বিকালে জয় বাংলা এভিনিউ উদ্বোধন করেছেন, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য এ কে এম এনামুল হক শামীম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হারুন অর রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল হেকিম, শরীয়তপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব।