তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেছেন, তরুণদের কর্মসংস্থানের নতুন ঠিকানা হচ্ছে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ইনকিউবিশন সেন্টার। প্রকল্পটির কাজ শেষ হলে তরুণ তরুণীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের তরুণরা আর চাকরির পেছনে নয়, উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করবে। এই পার্ক বাংলাদেশকে শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে জ্ঞাননির্ভর, উন্নত অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। গড়ে উঠবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলা করার উপযোগী প্রজন্ম। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে যেমন বেকারত্ব দূর হবে, একই সঙ্গে ফ্রিল্যান্সিং কওে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে নিজেরা স্বাবলম্বী হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে আইসিটি সেক্টর থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় হবে। একই সময়ে আইসিটি সেক্টরে ৩০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। গতকাল দিনাজপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে প্রায় ৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি এসব কথা বলেন। সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম। অনুষ্ঠানে লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ৮৮ জন ফ্রিল্যান্সারের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়। এ সময় সভাপতির বক্তব্যে হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, দেশের তরুণরা যাতে উদ্যোক্তা ও আত্মনির্ভরশীল হতে পারেন সে জন্য প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্রেন চাইল্ড শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, স্কুল অব ফিউচার, ডিজিটাল এডুটেইনমেন্ট সেন্টারসহ দেশে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ডিজেল প্ল্যান্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. রফিকুল ইসলাম, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন (১১টি) শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) এ কে এম আবদুল্লাহ খান, জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী, লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (উপ-সচিব) মো. হুমায়ূন কবীর, জেলা পরিষদের প্রশাসক ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইমাম চৌধুরী, দিনাজপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার দিনাজপুরের তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
