বুধবার, ১ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সভাপতির অভিযোগ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর ও এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা। গতকাল বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবের এম এ রাজ্জাক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ১০ নম্বর ওয়ার্র্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর গোলাম মোস্তফা লাভলু। এ সময় তিনি বলেন, কুষ্টিয়া পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড মিলপাড়া এলাকার কাউন্সিলর কিশোর কুমার ঘোষ জগৎ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক খান মো. ওয়াহেদ রনির এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে তারা এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। মাসুদ খাঁ নামে এলাকার এক চিহ্নিত চোর ও মাদক ব্যবসায়ীর হত্যাকান্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা এখন নোংরা খেলায় মেতে উঠেছেন। মাদক ব্যবসা ও তার স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে অথচ এ হত্যা মামলায় তাকেসহ নেতা-কর্মীদের আসামি করে হয়রানি করা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে লাভলু দাবি করেন, তিনি ২০০৭ সালে গঠিত ১০ নম্বর ওয়ার্ড পুলিশিং ফোরামের সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছেন। যার কারণে এলাকায় বর্র্তমান কাউন্সিলর জগৎ ও রনির সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। রনি তার নিজ নামীয় লাইসেন্সকৃত শর্টগান ও পিস্তল নিয়ে এলাকায় প্রকাশ্যে মহড়া ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। রনি ও জগৎ এলাকায় ত্রাসের রাজনীতি ও অধিপত্য বিস্তার করে জমি দখল, খুন, ডাকাতি, ছিনতাই ও ধর্ষণের মতো ঘটনার জন্ম দিচ্ছেন। তাদের কারণে এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিকভাবে তাদের ঘায়েল করতে না পেরে নানা ধরনের হয়রানিতে লিপ্ত তারা। তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে মাসুদ খাঁ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোহর মোল্লা, পুলিশিং কমিটির সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা উকিল মৃধা, শাহাদত আলী সাগর, শহিদুল ইসলাম, মো. চুন্নু, আবদুল ওহাব, আজমল হোসেন আলমসহ ভুক্তভোগী ও মিলপাড়া এলাকার বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, ৪ মে ঈদের পরের দিন ভোর ৪টা থেকে মাসুদ খাঁ নিখোঁজ ছিলেন। নিখোঁজের এক দিন পর কুমারখালী উপজেলার মীর মোশারফ হোসেন সেতুর নিচ থেকে ভাসমান লাশ দেখে স্থানীয়রা জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী হাসিনা খাতুন বাদী হয়ে সাবেক কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা লাভলুসহ পাঁচজনের নামে হত্যা মামলা করেন।

সর্বশেষ খবর