বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ লাখ ৬৫ হাজার পশু

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ লাখ ৬৫ হাজার পশু

এবার ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ১ লাখ ৬৫ হাজার কোরবানির পশু প্রস্তুত করেছেন জেলার খামারিরা। যা প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় ৫০ হাজার বেশি। খামারিরা বলছেন, এবার তারা কাক্সিক্ষত মূল্য পাওয়ার আশা করছেন। অনলাইনসহ বিভিন্নভাবে গরু বেচাকেনা শুরু হয়ে গেছে। অন্যদিকে মৌসুমি ব্যবসায়ীরাও কোরবানিকে টার্গেট করে বিভিন্ন স্থান থেকে পশু এনে পালন করছেন। জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৩টি। তার বিপরীতে জেলার পাঁচ উপজেলায় ছোট-বড় ১১ হাজার ৫০৪টি খামারে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬১৫টি গবাদিপশু ও ছাগল প্রস্তুত করা হয়েছে। এরমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে ১৪ হাজার ৮৮৫টি ষাঁড়, ১৮ হাজার ৩২৫টি বলদ, ১১ হাজার ৫৯৭টি গাভী, ৮৯টি মহিষ, ৩১ হাজার ১২৯টি ছাগল ও ভেড়া ১ হাজার ৭৯৭টি। শিবগঞ্জে ৬ হাজার ৯১০টি ষাঁড়, তিন ২৭৬টি বলদ, ৩ হাজার ২৪টি গাভী, ১৩টি মহিষ, ২০ হাজার ১৭৫টি ছাগল ও ভেড়া ১ হাজার ৭২৭টি। নাচোলে ষাঁড় ২ হাজার ৩২২টি, ১ হাজার ২২৯টি বলদ, ৫ হাজার ৩৪৭টি গাভী, ৪০টি মহিষ, ৩ হাজার ২৪১টি ছাগল ও ভেড়া ১ হাজার ২০৭টি। গোমস্তাপুরে ষাঁড় ৭ হাজার ১৬৯টি, ৬ হাজার ২০৪টি বলদ, ৬ হাজার ৪২৩টি গাভী, মহিষ ৩০টি, ছাগল ৬ হাজার ৫৬৯টি ও ভেড়া ৩ হাজার ৩৩৯টি এবং ভোলাহাটে  ষাঁড় ২ হাজার  ৪৫টি, বলদ ৪১৩টি, গাভী ২ হাজার ৬৮২টি, মহিষ চারটি, ছাগল ৬ হাজার ৯৫৮টি ও ভেড়া ৯৯৭টি। জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার মমতাজ ডেইরি অ্যান্ড ক্যাটেল ফার্মের ম্যানেজার রেজাউল করিম জানান, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জের খামারিরা গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া পালন করে আসছেন। প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে মোটাতাজা করা হচ্ছে এসব গরু। খামারিরা ক্ষতিকর স্টেরয়েড জাতীয় ট্যাবলেট বা ইনজেকশন ব্যবহার করেন না বলে জানান তিনি। তার দাবি গোখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় খামারিদের বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। ফলে গরুর দাম স্বাভাবিকভাবে বেশি পড়বে। এ ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ ডা. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে কোরবানির পশু বেচাকেনা শুরু হয়েছে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পশু দিয়েই এবারের কোরবানির চাহিদা মিটবে। এর মধ্যে  দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও ব্যবসায়ীরা পশু আনতে শুরু করেছেন এবং মৌসুমি ব্যবসায়ীরাও কোরবানিকে লক্ষ্য রেখেই পশু পালন করেছেন। এ কারণে এবার জেলায় কোরবানির পশু সংকট হবে না বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর