রবিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সৈয়দপুরে বেকারি শিল্পে দুর্দিন

একের পর এক বন্ধ হচ্ছে কারখানা

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

কাঁচামালের আকাশছোঁয়া মূল্যের প্রভাবে সৈয়দপুরের বেকারি শিল্পে চলছে দুর্দিন। ইতোমধ্যে উপজেলার আটটি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। বাকিগুলো চলছে ধুঁকে ধুঁকে। বেকারি শিল্প টিকিয়ে রাখতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর পাঠানো হয়েছে স্মারকলিপি। ব্যবসায়ীদের দাবি রেশনিং সিস্টেমে বেকারির কাঁচামাল সরবরাহ করা হলে ধ্বংসের হাত থেকে এ শিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব।ব্যবসায়ীরা জানান, ময়দা, চিনি, তেল, কাগজ ও পলিথিনের দাম গত আড়াই মাসে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। বিকাশমান বেকারি শিল্পের সঙ্গে জড়িত শত শত মানুষের জীবন-জীবিকা। আগে এসব বেকারি কারখানায় দুই শিফটে কাজ হতো। বর্তমানে কাজ হচ্ছে এক শিফটে। ফলে বেকার হয়ে পড়েছেন বহু লোক। ব্যবসায়ীদের ভাষ্যমতে আড়াই মাস আগেও যে চিনি ৮৫ টাকা কেজি দরে পাওয়া যেত, সেই চিনি এখন ১১২-১৫ টাকা। পাম তেলের মূল্য কেজিতে বেড়েছে ২৫ টাকা। আটা, ময়দার দাম ৫০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। ৩৫ টাকা কেজির ময়দা ৭০ এবং ২৮ টাকা দামের আটা ৬০ টাকায় খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। আগে লেবেল বানানোর এক রিম কাগজের দাম ছিল ১ হাজার ৩০০ টাকা। বর্তমান বেড়ে ২০০০ টাকা হয়েছে। রুটি, বিস্কুট প্যাকিংয়ের কাজে যে পলিথিন ব্যবহার করা হয় তার দাম কেজিতে ১৫০ টাকা বেড়ে গেছে। আগামী দিনে বাড়তি মূল্যেও প্যাকিংয়ের জন্য পলিথিন মিলবে কিনা সেই বিষয়েও সংশয় প্রকাশ করেছে তারা। বাংলাদেশ ব্রেড, বিস্কুট ও কনফেকশনারি পণ্য প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি আকতার সিদ্দিকী পাপ্পু বলেন, বেকারি শিল্প ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে পণ্যের সাইজ ছোট করা হয়েছে। দাম যাতে নাগালের মধ্যে থাকে সেজন্য পণ্যের মূল্য বাড়ানো হয়েছে শতকরা ২০ টাকা। এরপরও এ শিল্পের অবস্থা ভালো না। তার মতে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আগের তুলনায় বেচাকেনা অর্ধেকে নেমেছে। দুই শিফটের বিপরীতে এক শিফটে কাজ করানো হচ্ছে। এতে অর্ধেক শ্রমিক-কর্মচারী বেকার হয়ে পড়েছে। সৈয়দপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তৌহিদুর রহমান জানান, বর্তমান পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে যাতে দেশের এ শিল্প বাঁচিয়ে রাখা যায় সে বিষয় নিয়ে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভাবছেন। তিনি বলেন, আশা নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে। কখন সুদিন ফিরবে।

সর্বশেষ খবর