শিরোনাম
শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

পরিত্যক্ত খালে পরিবেশ দূষণ দুর্ভোগে হাজারও মানুষ

গৌতমাশিস গুহ সরকার, গাইবান্ধা

পরিত্যক্ত খালে পরিবেশ দূষণ দুর্ভোগে হাজারও মানুষ

কচুরিপানা ও ময়লা-আবর্জনায় সয়লাব ঘাঘট খাল

গাইবান্ধা শহরের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত ঘাঘট নদী ১৯৯০ সালে লুপ কাটিং করে উত্তরে সরিয়ে নেওয়া হয়। এতে মূল নদীর তিন কিলোমিটার অংশ পরিণত হয় খালে। খালটি ৩৩ বছর ধরে পরিত্যক্ত পড়ে থাকায় পরিবেশ দূষণের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুই পাশে বসবাস করা হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। খালটি ঘিরে বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলতে ২০১৭ সালে ঘাঘট উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। নানা জটিলতায় গত ছয় বছরে কাজ শেষ হয়নি। এলাকাবাসী জানান, এই পুরাতন ঘাঘট নদীর (বর্তমানে খাল) তীরে জেলা প্রশাসকের বাসভবন, জেলা জজের বাসভবন, পোস্ট অফিস, স্বাধীনতা প্রাঙ্গণ, আনসার ও ভিডিপি অফিস, এসিল্যান্ড অফিস, পুরাতন বাজারসহ রয়েছে শত শত বাড়িঘর। নদী লুপ কাটিং করে শহর থেকে দূরে সরিয়ে নেওয়ায় খালে পরিণত হওয়া নদীটি গত তিন দশকে ভাগাড়ের রূপ নিয়েছে। একদিকে ময়লা-আবর্জনা ফেলে দূষিত করা হচ্ছে অন্যদিকে পুরো খাল ভরে আছে কচুরিপানায়। এ ছাড়া দুই পাড়ে গড়ে তোলা হয়েছে বেশকিছু অবৈধ স্থাপনা। খাল ঘিরে বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলতে স্থানীয়রা দীর্ঘদিন আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে এটির উন্নয়নে ২৭ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। প্রকল্পের আওতায় রয়েছে খালের ওপর ৫৪ ও ৫৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে দুটি সেতু, সংযোগ সড়ক, একটি ওয়াশ ব্লক, ২০টি বসার বেঞ্চ, চারটি ঘাট, উভয়পাড়ে ছয় ফুট করে ফুটপাত, দুটি স্লুইস গেট, আবর্জনার ডাম্পিং স্টেশন, সিসি ব্লক দিয়ে নদীর স্লোপ প্রটেকশন, তলদেশের মাটি কাটা এবং বৃক্ষ রোপণ। গত ছয় বছরে এই প্রকল্পের মাত্র ৬০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। থেমে আছে দুটি ব্রিজ, ডাম্পিং স্টেশন, স্লোপ প্রটেকশন ও ফুটপাত নির্মাণসহ আরও কিছু কাজ। দুই পাড়ের বাসিন্দারা জানান, পরিত্যক্ত থাকায় খালজুড়ে আছে শুধু কচুরিপানা। সেখানে মশা-মাছি পোকামাকড়ের বাস। মানুষ যে যার মতো ময়লা-আবর্জনা ফেলছে। দুর্গন্ধে ওইসব এলাকায় টেকা দায়। খালের পানি কালো হয়ে গেছে। এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম বলেন, দুটি সেতু নির্মাণ কাজ শেষ করতে না পারায় আগের ঠিকাদারের জায়গায় টেন্ডারের মাধ্যমে নতুন ঠিকাদার নিযুক্ত করা হয়েছে। তারা কাজ শুরু করেছেন। খালটির দেখভাল করবেন পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। আমরা প্রকল্পের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার দায়িত্বে আছি।

 

সর্বশেষ খবর