মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

এখনো শেষ হয়নি মামলার বিচারিক কার্যক্রম

কানসাট তান্ডবের ১০ বছর

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

এখনো শেষ হয়নি মামলার বিচারিক কার্যক্রম

হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কার্যালয়

আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি কানসাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দফতরে তান্ডবের ১০ বছর। ২০১৩ সালের এই দিনে কানসাটে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দফতরে নাশকতা চালায় জামায়াত-শিবির কর্মীরা। পুড়িয়ে দেওয়া হয় পল্লী বিদ্যুতের স্টেশন। লুটপাট করা হয় অফিসের কোয়ার্টারে। এতে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার সরঞ্জাম পুড়ে যাওয়াসহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনার ১০ বছর পার হলেও শেষ হয়নি মামলার বিচারিক কার্যক্রম। সাক্ষ্য-প্রমাণ চলমান থাকায় দ্রুত বিচার কার্যক্রম শেষ হবে বলে আশা করছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী। ওই সময় কানসাটে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদর দফতর ছিল। তান্ডবের পর অফিসটি জেলা শহরের নয়াগোলা এলাকায় আনা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির দেয়ালের দাগ রঙের প্রলেপে মুছে গেলেও, মন থেকে মুছেনি সে দিনের তান্ডবলীলার দৃশ্য। রেহাই পায়নি জেলা শহরের রেহাইচরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন স্থান। জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধাপরাধ মামলায় জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় হয়। এ খবর পাওয়ার পরই কানসাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদর দফতরে ভাঙচুর, বিদ্যুৎ সরবরাহের প্লান্টসহ ট্রান্সফরমার পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ব্যাপক লুটপাট ও ধ্বংসলীলা চালায় জামায়াত-শিবির কর্মীরা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী ছানোয়ার হোসেন বলেন, ভয়াবহ হামলা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তৎকালীন এজিএম রেজাউল করিম বাদী হয়ে তিনটি মামলা দায়ের করেন। ১০ বছর ধরে এ মামলা চলমান রয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বোর্ড সভাপতি পলাশ উদ্দিন জানান, যারা ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালিয়েছিল তাদের শাস্তি নিশ্চিত হলে রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করার আর কেউ সাহস পাবে না। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আইনজীবী আবদুল হামিদ জানান, এ ঘটনায় তখন পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে তিনটি মামলা খারিজ হয়ে যায়। বাকি দুটি চলমান রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি আঞ্জুমান আরা বলেন, সাক্ষীদের জেরা করা হয়েছে। যারা রাষ্ট্রের সম্পদ ধ্বংস করেছে, তারা যেন অবশ্যই শাস্তি পায়।

সর্বশেষ খবর