বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

সোলার পাম্পে কৃষকের হাসি

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

সোলার পাম্পে কৃষকের হাসি

বাড়তি খরচ বা কোনো ঝামেলা না থাকায় সোলারের দিকে আগ্রহ বাড়ছে ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকের। বিদ্যুৎ নিয়ে বাড়তি চিন্তা মাথা থেকে পুরোপুরি ঝেড়ে ফেলে দিয়েছেন তারা। সেই সঙ্গে তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিকল্প পদ্ধতিতে সোলার সেচপাম্পের মাধ্যমে সেচ সুবিধা নিচ্ছেন জেলার কৃষকরা। সময়ের বিবর্তনে আধুনিক হয়েছে সবকিছু। কম করছে সেচ সুবিধা পাওয়ায় খুশি কৃষকরা। ঠাকুরগাঁওয়ের মাঠে মাঠে বোরো ধান আবাদে কৃষকের ব্যস্ততা বেড়েছে। ভালো ফলন পেতে জমি পরিচর্যায় ভোর থেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন জেলার কৃষকরা। আগাছা তোলা, সার কীটনাশক প্রয়োগ ও সেচ দেওয়া থেকে শুরু করে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে যাচ্ছেন কৃষক। এদিকে বাজারে ডিজেল ও তেলের দাম বৃদ্ধিসহ জমিতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগে উৎপাদন ব্যয় কমাতে এখন সোলারে সেচ সুবিধায় অনেকটাই স্বস্তি মিলেছে কৃষকের। বাড়তি খরচ বা ঝামেলা না থাকায় সোলারের দিকে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।  ডিজেলচালিত মেশিনে এক বিঘা জমির ধান উৎপাদনে  সেচ নিতে ৪ হাজার টাকা খরচ হলেও সোলারে ব্যয় কমেছে অর্ধেকে। ভোগান্তি নিরসনের পাশাপাশি মাত্র ২ হাজার টাকায় ইচ্ছেমতো সেচ সুবিধাসহ মাঠ থেকে মেশিন চুরির ভয় কেটেছে কৃষকের। কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা বলছেন, সোলার পাম্পের মাধ্যমে জমিতে সেচ দিয়ে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। এতে ডিজেল ও বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীলতা কমছে। সেই সঙ্গে কৃষকরা উৎপাদন খরচ কমে আসছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে জেলায় বোরো আবাদ হয়েছে ৬১ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে। জেলায় ১৬০টি সোলার পাম্পের সাহায্যে ৮০৫ হেক্টর জমিতে কৃষকরা সেচ দিচ্ছেন। সদর উপজেলার মোলানী গ্রামের ফয়জুল হক নামের এক কৃষক বলেন, সোলারের মাধ্যমে পানি দিলে সমস্যা হয় না। বাড়তি লোকের প্রয়োজন নেই। কিন্তু আগে যখন শ্যালোমেশিন দিয়ে পানি দিতাম তখন বাড়তি লোক লাগত। খরচও হতো বেশি। সেই সঙ্গে শ্যালো দিয়ে পানি দিতে প্রচুর শ্রম দিতে হতো। জয়নাল নামের আরেক কৃষক বলেন, আমি সোলারের মাধ্যমে জমিতে সেচ দিচ্ছি। এখানে কষ্ট অনেক কম। বর্তমানে এক বিঘা জমিতে সোলার প্যানেল দিয়ে সেচ দিতে খরচ হচ্ছে ২ হাজার টাকা। অন্যদিকে শ্যালোমেশিন দিয়ে সেচ দিতে খরচ হয় ৩ হাজার টাকা।

 ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (উদ্যান) নইমুল হুদা সরকার বলেন, সোলার প্যানেল ব্যবহারে কৃষকের খরচ এক তৃতীয়াংশ কমে গেছে। এ জন্য কৃষকদের উৎপাদন খরচ কমে এসেছে। কৃষি বিভাগ সোলার পাম্পের মাধ্যমে সেচ ব্যবস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর