শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

ধর্ষণ মামলা হলেও আসামিরা অধরা

জয়পুরহাট প্রতিনিধি

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ঘটনা নিয়ে নানা নাটকীয়তার পর ধর্ষণচেষ্টার মামলা হলেও সাত দিনে পুলিশ আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি।

এমনকি মেলেনি ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্টও। ফলে মামলা করেও সুফল না পেয়ে শঙ্কায় দিন কাটছে নির্যাতিত পরিবারের। জানা গেছে, ২২ মার্চ ক্ষেতলালের কলিঙ্গা গ্রামে ধর্ষণের শিকার হয় মাধ্যমিক নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী। তার বান্ধবী ওই গ্রামের প্রেমিক যুবকের সঙ্গে দেখা করতে তাকে খালার বাড়ি বেড়ানোর কথা বলে সঙ্গে নিয়ে যায়। সেখানে যুবকের বন্ধু পাশর্বর্তী বড়াইল শেখপাড়া গ্রামের এক যুবক ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই যুবকের এক বন্ধুসহ আরও দুই বন্ধু ধর্ষণে সহযোগিতা করে। ঘটনার পর নির্যাতিত ছাত্রীর মা ওই রাতেই থানায় অভিযোগ করেন। কিন্তু পুলিশ অভিযোগের দুদিন পর ধর্ষক রাব্বিউল ও তার বন্ধু সুমন এবং অজ্ঞাত দুজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা নেয়।

আসামি থেকে বাদ দেওয়া হয় নির্যাতিতার বান্ধবীকে। শুরু থেকেই ঘটনা ধামাচাপা দিতে নির্যাতিতার সঙ্গে বিয়ের কথা বলে ধর্ষকের পরিবার কালক্ষেপণ করে। এ-সংক্রান্ত সংবাদ বন্ধে তারা স্থানীয় দুজন সাংবাদিককে ডেকে মোটা অঙ্কের টাকাও দেয়। মামলার পরের দিন ২৫ মার্চ জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষাও করা হয়। জেলা আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শহীদ হোসেন বলেন, ‘নির্যাতিতার প্রেগন্যান্সি পরীক্ষার জন্য ডাক্তারি রিপোর্ট দিতে বিলম্ব হচ্ছে’। নির্যাতিতার মা বলেন, ‘ঘটনার দিন অভিযোগ দিলেও কোনো আসামি গ্রেফতার হয়নি। আমরা গরিব মানুষ। আমাদের কেউ নেই। আমি চাই আমার মেয়ের মতো অন্য কারও মেয়ের যেন এমন ঘটনা না ঘটে। আমি এর বিচার চাই’। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ক্ষেতলাল থানার এসআই লতিফর রহমান বলেন, ‘স্কুলছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় ২৫ মার্চ জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হলেও রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ খবর