ফরিদপুরের সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। উপজেলা চেয়ারম্যানের দাখিলকৃত সম্পদের হিসাবও অনুসন্ধান করা হচ্ছে। অনুসন্ধানের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট সব তথ্য-উপাত্ত তলব করেছে সংস্থাটি। ফরিদপুরের দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বরের দুর্নীতির অনুসন্ধানে নামার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। দুদকের উপপরিচালক রেজাউল করিম বলেন, অনুসন্ধানকালে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে। জানা গেছে, গত ২০২২ সালের ১৯ ডিসেম্বর ওয়াদুদ মাতুব্বরের নিজের ও তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের জাতীয় পরিচয়পত্র, আয়কর রিটার্ন ও পাসপোর্টের ফটোকপিসহ ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর দুদক কার্যালয়ে তাকে হাজির হতে বলা হয়। পরে সে হাজির হয়ে কাগজপত্র জমা দেন। এ ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে বলে দুদকের ফরিদপুর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়। সূত্র জানায়, ‘ফরিদপুর ছাড়াও যেখানে যেখানে ওয়াদুদ মাতুব্বরের সম্পদ রয়েছে সবকিছু অনুসন্ধানের আওতায় থাকবে।
এ ছাড়া তার সম্পদ অনুসন্ধানের জন্য বিভিন্ন দফতরে নথিপত্র চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’ সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বর বলেন, ‘দুদক আমার কাছে আয়কর রিটার্ন, এনআইডি কার্ডের ফটোকপিসহ সম্পদের হিসাব চেয়েছিল। আমি এর জবাব দিয়েছি। নতুন করে দুদক থেকে এ ব্যাপারে আমাকে আর কোনোকিছু জানানো হয়নি।’ এর আগে সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওয়াদুদ মাতুব্বরের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি, সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ অবৈধ সম্পদের অর্জনের একটি অভিযোগ পায় দুদক। সে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধানে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
