সোমবার, ২২ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

মেঘনায় বাগদা-গলদা চিংড়ি ধরার মহোৎসব

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

মেঘনায় বাগদা-গলদা চিংড়ি ধরার মহোৎসব

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় অবাধে চলছে বাগদা ও গলদা চিংড়ি ধরার মহোৎসব। একটি অসাধু সিন্ডিকেট মৎস্য বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ম্যানেজ করে দেদার চালিয়ে যাচ্ছে জাল কেনাবেচাসহ রেণু শিকারের কোটি টাকার অবৈধ ব্যবসা। এতে করে মাছের অন্যান্য প্রজাতি যেমনি ধ্বংস হচ্ছে তেমনি হুমকির মুখে পড়ছে জীব বৈচিত্র্যও। তবে মৎস্য বিভাগ অভিযোগ অস্বীকার করে সকলের সহযোগিতা ছাড়া রেণু শিকার বন্ধ করা সম্ভব নয় বলে জানান। কমলনগর উপজেলার লুধুয়া, পাটোয়ারীর হাট ও চর আলেকজান্ডার ঘাট ঘুরে দেখা যায়, মেঘনা পাড়ে যতদূর চোখ যায় খুঁটির সঙ্গে নিষিদ্ধ মশারি জাল ফেলে অবাধে চলছে চিংড়ি রেণু শিকারের মহোৎসব। প্রতিদিন এভাবেই জোয়ার-ভাটায় শিশু, নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সীরা দল বেঁধে নেমে পড়েন রেণু পোনা ধরতে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অপরিকল্পিতভাবে বাগদা-গলদার রেণু সংগ্রহ করছে তারা। জেলার রামগতি-কমলনগর, মতির হাট, লুধুয়া, সদর ও রায়পুরের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৩০০টি টং ঘর নির্মাণ করে হকারদের মাধ্যমে এসব নিয়ন্ত্রণ করেন প্রভাবশালীরা। এসব রেণু পোনা ড্রাম ভর্তি করে খুলনা, বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বড় বড় ঘের মালিকরা এসে কিনে নিয়ে যান। তাদের সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালীরা আগেই চুক্তি করে নেন বলে জানা যায়। স্থানীয় জেলেরা জানান, প্রতিদিন একেকজন জেলে ২ থেকে ৩ হাজার রেণু সংগ্রহ করতে পারেন তারা। প্রতিটি রেণু পোনা তাদের কাছ থেকে ২ টাকা থেকে ৩ টাকা হারে কিনে নিয়ে যান মধ্যস্বত্বভোগীরা। মাঝে মাঝে মৎস্য বিভাগ ও প্রশাসনের লোক দেখানো অভিযান পরিচালিত হলেও ম্যানেজের কারণে রেণু আহরণে অন্যান্য প্রজাতির মাছ ও জীব বৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে রয়েছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।তবে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. অমিনুল ইসলাম জানান, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে একটি সিন্ডিকেট রেণু শিকার করছে। অভিযান চালানো হচ্ছে তবে তা কাজে আসছে না। এসব বন্ধ করতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে বলে জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর